খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১২ মে ২০১৬: বেশ কয়েকটি ভারতীয় কোম্পানি বাংলাদেশে গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ড. সুব্রামনিয়াম জয়শঙ্কর।
বুধবার সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক বৈঠকে জয়শঙ্কর এ কথা বলেন।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপন করা যেতে পারে।
ড. জয়শঙ্কর বলেছেন, দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ক্ষেত্রে নয়াদিল্লি-ঢাকা মডেল স্থাপন করেছে। বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
গত জুনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় দেওয়া প্রতিশ্র“তি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, ১৪টি অঙ্গীকারের মধ্যে ইতিমধ্যে আটটি পূরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রতিশ্র“তি পূরণে আমরা অগ্রগতি অর্জন করেছি। এক বছরের মধ্যে আমরা আটটি অঙ্গীকার পূরণ করেছি। অন্যগুলো বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
এ প্রসঙ্গে ড. জয়শঙ্কর বলেন, জ্বালানি ও এলএনজি/এলপিজি খাতে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা চমৎকার অগ্রগতি অর্জন করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব সার্ক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ উদ্যোগে তাঁর দেশকে সমর্থন দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের জুনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঐতিহাসিক সফরকালে দেওয়া অঙ্গীকার পূরণের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, নরেন্দ্র মোদি সফরের পর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যেকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ভারতের পার্লামেন্টে ঐতিহাসিক স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুমোদনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ভারত সরকারকে বিশেষ করে লোকসভা ও রাজ্যসভার সদস্যদের সর্বসম্মতভাবে এ বিল পাসের জন্য ধন্যবাদ জানান। অন্যদের জন্য এটি একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন।
এ সময় ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্রসচিব এম শহিদুল হক, বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এবং সহকারী হাইকমিশনার ড. আদর্শ সোয়াইকা উপস্থিত ছিলেন।