Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

15kখোলা বাজার২৪, বুধবার, ১৮ মে ২০১৬: ২০ ওভারে ১৮৩ রান করেও সেটিকে আগলে রাখতে পারল না কলকাতা নাইট রাইডার্স? বলতে পারেন, সময়ের দুই সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি ও এবি ডি ভিলিয়ার্স যখন আগুনে ফর্মে জ্বলে ওঠেন, তখন ১৮৩ কেন, আড়াই শ-ও কোনো রান নয়। সেটি মেনে নিয়েও, কাল কলকাতার ওভাবে পথ হারিয়ে ফেলার ক্রিকেটীয় কারণ কী?
সাদা চোখে বোলারদের ব্যর্থতা। দলের ছয় বোলার কাল বল হাতে নিয়েছিলেন, প্রত্যেকেই ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন সাড়ে ৮-এর ওপর করে। তবে সাকিব আল হাসানের চোখে কারণটা পিচ। ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেনের পিচটা এবার কলকাতার জন্য বন্ধু নয়, বরং ‘বন্ধুর’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘরের মাঠের সুবিধা নিতে পারছে না কলকাতা। কালও কলকাতার উইকেট হতাশ করল সাকিবদের।
কোহলি-ভিলিয়ার্সের ঝড়ে পথ হারিয়ে ৯ উইকেটে ম্যাচ হেরে যাওয়া। সাকিব প্রথমে ঠিকই স্বীকৃতি দিয়েছেন প্রতিপক্ষ দলের দুই ব্যাটসম্যানকে, ‘ওরা যেভাবে রান করছিল, আমাদের আসলে কিছু করার ছিল না। আমরা আমাদের সেরাটা দিয়েছি, কিন্তু ওরা বেশি ভালো ক্রিকেট খেলেছে।’
প্রতিপক্ষের স্বীকৃতির পাশাপাশি সাকিব টেনে এনেছেন পিচের কথাও, ‘আমি শুধু নিজেকে নিয়েই বলতে পারি। হ্যাঁ, আমরা পিচ থেকে যতটা সাহায্য পাওয়ার কথা, সেটা পাচ্ছি না।’
রেকর্ড সাকিবের কথায় সমর্থন দেয়। আইপিএলে এই মৌসুমে ঘরের মাঠে ছয় ম্যাচের তিনটিতে হেরেছে কলকাতা। এর মধ্যে দুটি ম্যাচেই আগে ব্যাট করে ১৮০-এর বেশি স্কোর গড়েও হেরেছে, অন্যটিতে হারতে হয়েছে ১৫৮ রান করে। তিনটি ম্যাচেই ধুঁকেছেন কলকাতার বোলিংয়ের মূল শক্তি স্পিনাররা।
কালকের ম্যাচটিই দেখুন, দলের তিন স্পিনারের মধ্যে সাকিব ও নারাইন চার ওভারে রান দিয়েছেন যথাক্রমে ৩৯ ও ৩৪। আর পীযূষ চাওলা ৩.১ ওভারে ৩২! সাকিবের চোখে ইডেনের পিচই স্পিনারদের এভাবে ভুগতে হওয়ার কারণ, ‘আমরা স্পিন নির্ভর দল। ঘরের মাঠে তাই পিচ থেকে কিছু বাড়তি সুবিধা আশা করাই স্বাভাবিক। এখন পর্যন্ত সেটা হয়নি। খেলোয়াড়দের জন্য ব্যাপারটা হতাশার।’
এই হতাশা অনূদিত হচ্ছে পয়েন্ট টেবিলেও। ১২ ম্যাচ শেষে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে কলকাতা। তবে পয়েন্ট টেবিলের তিন থেকে সাত—সবগুলো দলেরই এখনো সুযোগ আছে প্লে-অফে জায়গা করে নেওয়ার। কলকাতার জন্য কাজটা এখন বাঁচা-মরার মতো দাঁড়িয়েছে, পরের দুটি ম্যাচেই না জিতলে প্লে-অফ থেকে বাদও পড়তে হতে পারে।
২০১৫ সালেও শেষ দুই ম্যাচে ঠিক এমন সমীকরণ থেকে বাদ পড়েছিল কলকাতা। তবে এবার তেমনটা হতে না দেওয়ার ব্যাপারে বেশ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সাকিবরা। সেটি করতে গেলে প্রতিপক্ষের পাশাপাশি পিচকেও জয় করতে হবে। এমনিতেই পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে পিচকে অজুহাত হিসেবে দেখানো অশোভন, সেটি করতেও রাজি নন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার, ‘সত্যি বলতে পিচকে দোষ দিতে পারি না আমরা। আমাদের দলে ম্যাচ জেতানোর মতো অনেক মানসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে। হয়তো যেমন চেয়েছিলাম, ঘরের মাটিতে ততটা ভালো করতে পারিনি। তবে সব মিলিয়ে আমরা ভালো অবস্থানেই আছি। এখন পরের দুটি ম্যাচ ভালোভাবে খেলা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’ সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।