খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২১ মে, ২০১৬: জলােচ্ছ্বাসঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় অন্তত ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আরও পাঁচজন নিখোঁজ হওয়ার খবর জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন জানান, শনিবার দুপুরে ঝড় উপকূল অতিক্রম করার সময় সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে বাঁশখালীর খানখানাবাদ ইউনিয়নে পাঁচ জন এবং ছনুয়া ইউনিয়নে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, জলোচ্ছ্বাসের পানি বেড়িবাঁধ ভেঙে বাঁশখালীর বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে পড়ে। এতে পানিতে ডুবে ওই ছয়জন নিহত হয়।
“এছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নে আরও পাঁচজন নিখোঁজ আছে বলে স্থানীয়দের মাধ্যমে শুনেছি। এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।”
নিহতদের মধ্যে একজন ছনুয়া ইউনিয়নের তাহেরা বেগম বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে। তার স্বামী মো. হারুন।
বাঁশখালী থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, জলোচ্ছ্বাসে বেড়িবাঁধ ভেঙে বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদ, গণ্ডামারা, শেখের খিল ও ছনুয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
গণ্ডামারায় আড়াইশর মত, ছনুয়ায় তিনশর বেশি ঘর-বাড়ি তলিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
এদিকে কক্সবাজার জেলার কতুবুদিয়ার বড়ঘোপ এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রায় দেড়শ ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে বলে দ্বীপের বাসিন্দা আইনজীবী রফিক উল আহসান জানিয়েছেন।
ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে দুপুরে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু। এর প্রভাবে চট্টগ্রামসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে চলে ভারি বৃষ্টি।
উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়।