Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

16kখোলা বাজার২৪, রোববার, ২২ মে, ২০১৬: এবার পাকিস্তানের ১৯৫ জন সেনাকর্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির জামায়াতের আমীর সিরাজুল হক। তার আশঙ্কা আন্তর্জাতিক আদালতে বিষয়টি পাকিস্তান তুলতে না পারলে বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে ওই ১৯৫ সেনাকর্তার বিচারও করে ফেলতে পারে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে জামায়াতের আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির দ-াদেশ কার্যকর করার জন্যে পাকিস্তান সরকারকে দায়ী করেছেন তিনি। পাকিস্তানের দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
পাকিস্তান জামায়াতের আমীর সিরাজুল হক লাহোরে বলেছেন, মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদ-ের পেছনে প্রধান কারণ হল পাকিস্তান সরকারের ঔদাসীন্য ও নিস্পৃহতা। এর পেছনে ভারত বাংলাদেশের কোন অশুভ আঁতাত কাজ করেনি।
জামায়াত নেতা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুতে একদল আলেম সম্প্রতি সিরাজুল হকের সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি একথা বলেন। সিরাজুল হক প্রশ্ন করেন, ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আলোকে পাকিস্তান কি আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে? সত্যিই যদি যেত মাওলানা নিজামীর মৃত্যুদ- রদ করা যেত। তিনি বলেন, পাকিস্তানের শাসকরা যদি এই অবিচারের বিরুদ্ধে বিশ্ব পরিমন্ডলে আওয়াজ তুলত সুবিচার প্রত্যাশী দেশগুলো আমাদের সমর্থন করত। পাকিস্তান সরকার বরাবরই বিষয়টিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে আসছে।
সিরাজুল হক বলেন, ৭১ সালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে সমর্থনের জন্য নিজামীকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ভারত যে কোন মূল্যে শেখ হাসিনা ওয়াজেদকে ক্ষমতায় রাখতে চায়, যাতে সেদেশে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েম হতে না পারে।
পাকিস্তানের জামায়াত প্রধান বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের কাছে মাওলানা নিজামী যেমন ক্ষমা চাননি তেমনি ৭১ সালে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়ার বিষয়টিকে অপরাধ বলে স্বীকার করেননি।
পাক জামায়াত প্রধান বলেন, নিজামীর মৃত্যুতে বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলন আরও তীব্র হচ্ছে এবং বাংলাদেশে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েম হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে হাসিনা ওয়াজেদের হবে করুণ পরিণতি। হিন্দুদের খুশি করতেই হাসিনা বাংলাদেশ থেকে ইসলামি নেতৃত্বকে নির্মূূলে নেমেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে মহিলাসহ হাজার হাজার জামায়াত কর্মী জেলে রয়েছেন, শিকার হচ্ছেন নির্যাতনের। পাক সরকার তাদের মুক্তির জন্য সরব না হলে বাংলাদেশ সরকার পাক সেনাবাহিনীকেও অনুরূপ বিচারের আওতায় নিয়ে আসবে। পাক জামায়াত নেতা বলেন, ইসলামাবাদের বর্তমান সরকারের কাছ থেকে কোন কিছু আশা করা বাতুলতা মাত্র। তারা ভারতীয় সংস্কৃতির উজ্জীবনে ব্যস্ত।