Mon. Mar 17th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

13kবিভুরঞ্জন সরকার ।। খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০১৬: আমার এক জাপান-প্রবাসী ব্যবসায়ী বন্ধু সেদিন ফোন করে জানতে চাইলেন, ড. আতিউর রহমান কেমন আছেন। তার এই প্রশ্নে আমি একই সঙ্গে কিছুটা বিস্মিত এবং লজ্জিত হলাম। বিস্মিত হয়েছি আতিউর রহমানের খবর আমার কাছে জানতে চাওয়ায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সদ্য ‘সাবেক’ গভর্নরের সঙ্গে আমার আলাপ-পরিচয় আছে। আমার পছন্দের মানুষদের মধ্যে তিনি অবশ্যই একজন। কিন্তু তাঁর সঙ্গে আমার দৈনন্দিন যোগাযোগ নেই। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হওয়ার পর তাঁর সঙ্গে আমার দুএকবার দেখা হয়েছে। লজ্জিত হয়েছি, কারণ তিনি এখন কেমন আছেন, সে সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা ‘চুরি’ যাওয়ার ঘটনা কেন্দ্র করে গভর্নরের পদ হারানোর পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় ফিরে গেছেন, খবরের কাগজে এই খবর পড়েছি। এর বেশি কিছু জানি না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা নিয়ে দেশে যখন প্রচণ্ড হৈ চৈ তখন আতিউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের কথা দুএকবার ভেবেছি। এমনকি তিনি যখন নাটকীয় পরিস্থিতির মুখে ‘পদত্যাগ’ করেন, তারপরও ভেবেছি, এখন তো তিনি গুরুত্বপূর্ণ ‘পদাধিকারী’ নন, কাজেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। কিন্তু সেটাও হয়নি। আতিউর রহমানকে যে পরিস্থিতিতে এবং যেভাবে পদত্যাগ করতে হয়েছে, সেটা আমার মোটেও ভালো লাগেনি। ভালো লাগেনি তাঁর প্রতি মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবুল মুহিতের চরম বিরক্তিকর ও বিদ্বেষমূলক প্রতিক্রিয়াও।
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গেও আমার সামান্য পরিচয় আছে এবং সেটাও খুব কম সময়ের নয়। তাঁকেও আমি আমার পছন্দের মানুষের তালিকাতেই রাখি। দুইজন পছন্দের মানুষের মধ্যে কেন এবং কীভাবে বিরোধ বা বৈরিতা তৈরি হল, সেটা জানার আগ্রহ আমার আছে। কিন্তু সেটা জানার জন্য তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগ করতে উৎসাহবোধ করিনি কিংবা বলা যায়, দ্বিধা বোধ করেছি।
আমার মনে হয়েছিল, মাননীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি হয়তো খোলামেলা কথা বলবেন। কে কী মনে করে তার তোয়াক্কা না করে স্পষ্ট কথা বলতে তাঁর জুড়ি নেই। আমি গেলেও হয়তো আতিউর রহমান সম্পর্কে একগাদা অভিযোগ তুলে ধরবেন। তাঁকে ‘অপদার্থ’ প্রমাণের জন্য তাঁর কাছে কত যুক্তি আছে, তার সবই অকপটে তুলে ধরবেন। তিনি অকপট মানুষ। যা বলেন একেবারে চাঁচাছোলাভাবেই বলেন। কারও প্রতি বিরূপতা থাকলে তা প্রকাশে তিনি অত্যন্ত ‘নির্দয়’।
দৈনিক ‘প্রথম আলো’তে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে তিনি আতিউর রহমানকে যেভাবে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছেন, তাঁর অবদান ‘জিরো’ বলেছেন, তা তাঁর স্বভাবসুলভ হলেও আমার মেনে নিতে কষ্ট হয়েছে। রিজার্ভ চুরির ঘটনার দায় নিয়ে আতিউর রহমান যেভাবে নিজে থেকে পদত্যাগ করে আমাদের দেশে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তার জন্য তাঁকে সাধুবাদ না জানিয়ে অর্থমন্ত্রী তাঁর উপর উল্টো চাবুক চালিয়ে নিজের মর্যাদার সঙ্গে সুবিচার করেননি বলেই আমার মনে হয়েছে।
আমার এটাও মনে হয়েছিল যে, আতিউর রহমানের কাছে গিয়ে যদি জানতে চাইতাম অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের তিক্ততা আছে কি না, তাহলে তিনি তার নেতিবাচক জবাব দিতেন। কারণ এর আগে দুএকবার বিভিন্ন প্রসঙ্গে আলোচনায় এটা আমি দেখেছি, মাননীয় অর্থমন্ত্রীর প্রতি আতিউর রহমানের গভীর শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। রুচি ও সংস্কৃতিবান, পড়াশোনা জানা এবং বয়োজ্যেষ্ঠ হিসেবে মুহিত সাহেবকে ‘মুরুব্বি’ জ্ঞান করতেই দেখেছি আতিউর রহমানকে।
পদত্যাগের পরও গণমাধ্যমে তাঁর যে প্রতিক্রিয়া বের হয়েছে সেটা ছিল খুবই ভারসাম্যপূর্ণ এবং অর্থমন্ত্রীর প্রতি কোনো ধরনের অশ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ তাতে ঘটেনি। কাজেই আতিউর রহমানের কাছে গিয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর মতভিন্নতা বা বিরূপতার কোনো কারণ জানা সম্ভব বলে আমার মনে হয়নি। তাই আমি তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করিনি।
কিন্তু আমার জাপান-প্রবাসী বন্ধুর ফোন পেয়ে আমার মনে হল, এবার বোধহয় আতিউর রহমান সম্পর্কে একটু খোঁজখবর নেওয়া দরকার। আমার বন্ধুটি জাপানে আছেন বেশ কয়েক বছর ধরে। ওখানে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। ভালোই আছেন। সেখানে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ের অনেকের সঙ্গেই তার ভালো যোগাযোগ আছে।
বন্ধুর কাছ থেকেই আমি জানতে পারলাম যে, বাংলাদেশ সম্পর্কে যাদের সামান্য ধারণা আছে, বিশেষ করে ব্যবসায়িক বা অন্যান্য কাজে যারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কিত তাদের সবার কাছেই আতিউর রহমান একটি পরিচিত নাম। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে আতিউর রহমানের বিভিন্ন সৃজনশীল উদ্যোগ ও সাফল্য নিয়ে জাপানের গণমাধ্যমেও একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ফলে স্বীয় পদ থেকে তাঁর দুঃখজনক বিদায় অনেক জাপানিকেও ব্যথিত করেছে। ড. আতিউর এখন কেমন আছেন সে উত্তর আমি দ্রুত দিতে না পারায় আমার বন্ধুটি কিছুটা ক্ষুণœ হয়েই বলেছেন: ‘‘আতিউর রহমানের মতো একজন মানুষের নাম তোমরা এর মধ্যেই ভুলে গেলে?’’
এ প্রশ্নেরও এমন কোনো জবাব আমার জানা নেই যা দিলে আমার বন্ধু সন্তুষ্ট হবেন। ফলে এবারও আমি চুপ করে থাকায় বন্ধুই বলেন: ‘‘বাংলাদেশ ভালো মানুষের কদর করতে জানে না– এই ধারণা থেকে আমরা আর কবে বেরিয়ে আসতে পারব? বিদেশিরা যাঁকে সম্মান করে তাঁকে অপমান করতে পারলেই বুঝি আমাদের আনন্দ। সাত বছর নিরলস পরিশ্রম করে আতিউর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের মর্যাদা যে পর্যায়ে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছেন, তার কোনো মূল্যায়ন না করে একটি ‘দুর্ঘটনা’– যার জন্য তিনি কোনোভাবেই দায়ী নন– তাঁকে অপমানজনকভাবে বিদায় দেওয়া একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।’’
আমি বললাম: ‘‘আমাদের দেশে দায় স্বীকারের সংস্কৃতির অভাব রয়েছে। এ জন্য তিনি সবার কাছে প্রশংসিত হচ্ছেন বলেই মনে হয়।’’
জাপান-প্রবাসী বন্ধু বলেন: ‘‘দুই মাসও হয়নি, তোমরা তাঁকে ভুলে গেছ। আর বলছ মানুষের কাছে তিনি প্রশংসিত হয়েছেন! তাঁর পদত্যাগের পর দেশের গণমাধ্যমগুলোতে তাঁর সাত বছরের কাজের মূল্যায়ন করে কয়টি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে? দেশে এত এত গণমাধ্যম, তার কোনোটাতে কি আতিউর রহমানের সাফল্য বা ব্যর্থতা নিয়ে কোনো গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে? নতুন গভর্নরের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাংক কেমন চলছে তা নিয়েও কি কোনো রিপোর্ট বের হয়েছে?’’
আমি বললাম: ‘‘এখন সবার নজর রিজার্ভ চুরি হওয়ার ঘটনার দিকে। নতুন গভর্নরও নিশ্চয়ই তাঁর সব মনোযোগ নিবদ্ধ রেখেছেন খোয়া যাওয়া টাকা পুনরুদ্ধারের দিকেই। পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে, তিনি ভালোভাবে কাজকর্ম শুরু করলে, নিশ্চয়ই আগের গভর্নরের কাজের সঙ্গে তুলনামূলক আলোচনার প্রশ্নটা আসবে এবং আমাদের গণমাধ্যম নিশ্চয়ই তা করবে।’’
আমার বন্ধু এবার আমাকে খোঁটা দিয়ে বললেন: ‘‘প্রতি সপ্তাহে তুমি তো একাধিক লেখা লিখছ। কাউকে তারিফ করছ, কারও গালমন্দ করছ। তো, আতিউর রহমানের প্রশংসা করে একটা কিছু লেখার কথা তোমার মাথায় কেন আসে না?’’
আমার তাৎক্ষণিক জবাব: ‘‘রাজনীতির বাইরে আমার বেশি যাতায়াত নেই। অর্থনীতি, ব্যাংকিং এসব খুব ভালো বুঝি না। তাই অনধিকার চর্চা মনে করে আতিউর রহমান সম্পর্কে কিছু লেখার আগ্রহ দেখাই না। তাছাড়া, আমাদের দেশে কারও পক্ষে ইতিবাচক কিছু লিখলেই মনে করা হয়, তার কাছ থেকে বুঝি কিছু সুবিধা পাওয়া গেছে। যদিও জানি, আতিউর রহমান গভর্নর থাকাকালে অনেকেই তাঁর কাছ থেকে ছোটবড় নানা ধরনের ‘সুবিধা’ নিয়েছেন, কিন্তু এখন তারা একেবারেই নীরব। উল্টো তাদের কেউ কেউ সুযোগ পেলে আতিউর রহমানকে কিছুটা ধুইয়ে দিতেও পিছ পা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে, আতিউর রহমান যা না করেছেন, প্রচার করেছেন তার চেয়ে বেশি। তিনি নাকি ‘প্রচারপ্রিয়’ মানুষ!’’
জাপান-প্রবাসী বন্ধু কিছুটা রাগের সঙ্গেই বললেন: ‘‘ভালো কাজের প্রচার না হলে ভালো কাজ করা আর না করার মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না। আতিউর রহমান যদি তাঁর ভালো কাজের প্রচার করেই থাকেন তাহলে দোষের কী আছে? যে সফলতা বাংলাদেশ ব্যাংক তাঁর সময়ে দেখাতে পারেনি সে সাফল্য-চিত্র নিশ্চয়ই গণমাধ্যমে তুলে ধরা হয়নি। কাজেই যারা তাঁকে ‘প্রচারপ্রিয়’ বলেন তারা আসলে এক ধরনের হীনম্মন্যতায় ভোগেন। তাছাড়া যারা ড. আতিউরের কাছ থেকে ‘সুবিধা’ নিয়েছেন তারা এখন সুবিধাবাদী ভূমিকায় থাকবেন, এটাই তো স্বাভাবিক।’’
‘‘তুমি যদি ব্যক্তিগত কোনো সুবিধা নিয়ে না থাক তাহলে কয়েকটি প্রশ্ন তো তুমি সরকারের নীতি-নির্ধারকদের উদ্দেশে তুলতে পারো। যেমন: আতিউর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে ভালো কাজ বেশি করেছেন, না খারাপ কাজ? যদি খারাপ কাজ বেশি করে থাকেন, তাহলে প্রথম মেয়াদ শেষে তাঁকে দ্বিতীয় মেয়াদে গভর্নর হিসেবে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল কেন? সাত বছর দায়িত্ব পালনকালে তিনি ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার মতো কী করেছেন? স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতির কোনো অভিযোগ কি তাঁর বিরুদ্ধে আছে? প্রশাসক হিসেবে তিনি খুব দক্ষ না হতে পারেন, কিন্তু তাঁর সততা ও নিষ্ঠার কি কোনো অভাব ছিল? বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাঁর সম্পর্কে কী বলেন? তাদের যে সুযোগ-সুবিধা ড. আতিউরের সময়কালে হয়েছে, অতীতে তা কি কখনও হয়েছে?’’
‘‘একজন নিষ্ঠাবন, সৎ, কর্তব্যপরায়ণ মানুষ যদি একটিমাত্র ঘটনার কারণে চাকরি থেকে সসম্মানে বিদায় নিতে না পারেন, তাহলে ভবিষ্যতে ভালো মানুষেরা ভালো কাজে উৎসাহী হবে কীভাবে?’’
এতগুলো প্রশ্নের ধাক্কা সামলে উঠে কিছু বলার আগেই জাপান-প্রবাসী বন্ধু বললেন, ‘‘দেখেছ, ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন (রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান) স্পষ্ট করেই বলেছেন, চুরির ঘটনার জন্য প্রাথমিকভাবে সুইফট (সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক টেলিকমিউনিকেশন) দায়ী। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কও অর্থ চুরির দায় এড়াতে পারে না। রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার কোনো তথ্য তাঁরা পাননি উল্লেখ করে ড. ফরাসউদ্দিন বলেছেন, তাদের অসাবধানতা, অসতর্কতা, অজ্ঞতা ও অদক্ষতা ছিল।’’
টেলিফোন দীর্ঘ কথা শুনতে আমি অভ্যস্ত নই। তাই প্রসঙ্গ শেষ করার জন্য বলি: ‘‘ড. আতিউর রহমানকে নিয়ে তোমার উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। দেশের কোনো মানুষই তাকে ‘চোর’ মনে করে না। বরং কারা চোরের সাক্ষী গাঁট-কাটা সেটা মানুষের বুঝতে কোনো কষ্ট হয় না। সরকারি মালিকানাধীন বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা ‘সামান্য’ বিষয় বলে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা যেমন মানুষ দেখেছে, তেমনি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা অনেক বড় করে তোলার বিষয়টিও মানুষের দৃষ্টি এড়ায়নি। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষকে নাদান ভাবার কোনো কারণ নেই। মানুষ সবই জানে এবং বোঝে।’’
‘‘আতিউর রহমান এখন পর্যন্ত মুখ খোলেননি। তাঁরও নিশ্চয়ই আত্মপক্ষ সমর্থনে কিছু বলার আছে। তবে এখনই তার উপযুক্ত সময় নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘটনাটি সরকারের জন্য বিব্রতকর হয়েছে। সরকারের একজন হিতাকাক্সক্ষী হিসেবে মুখ না খুলে আতিউর রহমান বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন। এর মূল্য তিনি অবশ্যই পাবেন। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রিজার্ভ চুরির ঘটনায় আতিউর রহমানের কোনো ‘অপরাধ’ আছে বলে মনে করেন না বলেই আমি শুনেছি।’’
‘‘তবে রাজনীতিটা অনেক সময়ই একটা কম্প্রোমাইজের খেলা। এই খেলায় সব সময় দুইজনকে এক সঙ্গে কাছে রাখা যায় না। একজনকে কাছে টানলে আরেক জনকে দূরে সরাতেই হয়। আবার এটাও ঠিক যে, ড. আতিউর রহমানকে আপাতত দূরে সরানোটা দীর্ঘস্থায়ী না হলেই সরকারের জন্য ভালো হবে। দেশকে দেওয়ার ক্ষমতা যেমন আতিউর রহমানের আছে, তেমনি তাঁর কাছ থেকে নেওয়ার সুযোগ থেকেও সরকার যেন নিজেকে বঞ্চিত না রাখে।’’
পরবর্তী সময়ে এ নিয়ে আরও কথা বলার আশা রেখে তখন প্রবাসী বন্ধু আমার কাছ থেকে বিদায় নিয়েছেন।