খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০১৬: এবারের আইপিএলে সাকিব আল হাসানের সঙ্গী বাংলাদেশের আরেকজন—মুস্তাফিজুর রহমান। আগামীকাল শেষ চারের এলিমিনেটরে মুখোমুখি হবেন এই দুজন। যেখানে কলকাতার ফাইনালের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা মুস্তাফিজই। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মুখোমুখি হবে সাকিবের কলকাতা নাইট রাইডার্স।
তবে কলকাতাকে সাহায্য করতে মুস্তাফিজের রহস্য খুলে বলতে নারাজ সাকিব, ‘ওর জন্য আলাদা কোনো পরিকল্পনা নেই, কিন্তু ওকে নিয়ে টিম মিটিংয়ে অবশ্যই আলোচনা হয়। তবে আমি ওর রহস্য ফাঁস করি না। শেষ পর্যন্ত সে বাংলাদেশ দলকে প্রতিনিধিত্ব করে। আমি চাই, সে দেশের হয়ে আরও ভালো করুক। এখন খেলাটি এত পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে যায়, শেষ পর্যন্ত ওর রহস্য ধরে ফেলবেই কিন্তু আমি সেটি ফাঁস করতে যাচ্ছি না।’
তবে কলকাতার প্রতি সাকিবের কিন্তু অগাধ কৃতজ্ঞতা। ২০১১ মৌসুমে প্রথম ডাক পেয়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের। ছয় মৌসুম ধরে খেলছেন এই দলে। টানা ছয় মৌসুম তাঁকে ধরে রেখেছে নাইট রাইডার্স একটা কারণেই—বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে হাতছাড়া করা বোকামি। তবে সম্পর্কটি একমুখী নয় মোটেও, ক্রিকেটার হিসেবে নিজের উন্নতিতে এই ফ্র্যাঞ্চাইজিরও অবদান দেখেন সাকিব।
অবশ্য বাংলাদেশের সাকিব আর কেকেআরের সাকিবের মধ্যে একটি পার্থক্য রয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যেখানে সাকিবই দলের নায়ক অধিকাংশ সময়ে, আইপিএলে কলকাতার হয়ে অনেকটাই পার্শ্বচরিত্র সাকিব। ছয় মৌসুমে মাত্র ৪১টি ম্যাচ খেলেছেন। বল হাতে ৪২ উইকেট পেয়েছেন কিন্তু ব্যাট হাতে একটু ম্লান সাকিব। ১৩০–এর বেশি স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৪৯০ রান।
তবুও ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার সুযোগ তো পাচ্ছেন, যেখানে সেরা ক্রিকেটাররা খেলছেন। যাঁদের সঙ্গে খেলে নিজের খেলায় উন্নতি আনতে পারছেন। সাকিবের চোখে এটাই বড় পাওয়া, ‘এটি অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা। এ নিয়ে ছয় বছর খেলছি কলকাতা নাইট রাইডার্সে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ততায় মাঝে কিছু ম্যাচ খেলতে পারিনি। এখানে খেলা আমি দারুণ উপভোগ করছি। এই সুযোগটি এসেছিল আমার ক্যারিয়ারের খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। এটি আমার দরকার ছিল। আইপিএল এবং কলকাতার হয়ে খেলা ক্রিকেটার হিসেবে ভালো হতে সাহায্য করেছে।’
আইপিএলের প্রতিটি দলের সঙ্গেই রয়েছে ‘হেভিওয়েট’ কোচিং স্টাফ। অনেক জাতীয় দলেও এত নামকরা কোচকে একসঙ্গে পাওয়া যায় না। সাকিবের মতে, এঁদের সংস্পর্শে তাঁর পারফরম্যান্সে উন্নতি হচ্ছে, ‘কলকাতার কোচিং স্টাফরা খুব সহযোগিতা করেন। শুধু আমাকেই সাহায্য করে তা নয়, সবাইকেই। আমাদের যখন যা দরকার, সেটা যেন আমরা পাই, সেটি নিশ্চিত করেন। আমাদের স্টাফদের নামগুলো দেখুন—ওয়াসিম আকরাম, জ্যাক ক্যালিস, সাইমন ক্যাটিচ, মার্ক বাউচার। খেলাটির সবচেয়ে বড় নামগুলোর মধ্যে তাঁরা আছেন। তাঁদের কাছ থেকে আপনি সেরাটিই আশা করেন।’ সূত্র : ক্রিকবাজ।