খোলা বাজার২৪শুক্রবার, ২৭ মে ২০১৬: বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী সৃষ্টির পেছনে কারা আছে, কোথায় থেকে ম“ দেওয়া হচ্ছে এবং বিশ্বের কোন দেশগুলো টেরোরিজমের পেছনে ম“ দিচ্ছে- তা জানতে হবে। এসব কারণ তুলে আনতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) রাজধানীর রাজারবাগ ডিএমপি ট্রেনিং সেন্টারে ‘টোরোরিস্ট থ্র্রেট অ্যান্ড রেসপন্স’ শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রেনিং একাডেমি এবং সিঙ্গাপুরের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর পলিটিক্যাল ভায়োলেন্স অ্যান্ড টেরোরিজম রিসার্চ সংস্থা যৌথভাবে কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় পুলিশ র্যাব, ডিবি, ডিজিএফআই, এনএসআই, এসবি, সিআইডি’র মোট ৫৬ জন অংশ নেন।
কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, পুলিশের বিশেষায়িত এই ইউনিট টেরোরিজম প্রতিরোধে কাজ করবে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবও সংসদে পাঠানো হয়েছে। সরকার প্রধান ও সরকারের পলিসি মেকার লেভেলের সবাই এই ইউনিটটির বিষয়ে অত্যন্ত আগ্রহী।
তিনি বলেন, বাহিনীর দক্ষ ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এই সিটি ইউনিট তৈরি করা হয়েছে। তদন্তের পাশাপাশি এসব কর্মকর্তারা জঙ্গিবাদ দমনে কাজ করবে।
সিঙ্গাপুরের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর পলিটিক্যাল ভায়োলেন্স অ্যান্ড টেররিজম রিসার্চ-এর গবেষক ড. জলিন জেরার্ড বলেন, কর্মশালায় জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনের পাশাপাশি বড় বিষ্ফোরণ ঠেকানোর বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মইনুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত কমিশনার সাহাবুদ্দিন কোরায়শী, সিটি ইউনিটের প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম, ডিএমপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান, গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাশরুকুর রহমান খালেদ, শেখ নাজমুল আলম, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. ইউসুব প্রমুখ।