Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

8খোলা বাজার২৪শুক্রবার, ২৭ মে ২০১৬: ণত জন্মের সময় কোনো ভারতীয় শিশুর ওজন থাকে আড়াই থেকে সাড়ে তিন কেজি। সেখানে ভারতে এক মেয়েশিশুর জন্ম হয়েছে, যার ওজন ১৫ পাউন্ড বা ছয় কেজি ৮০০ গ্রাম। একে স্মরণকালের মধ্যে জন্ম নেওয়া সবচেয়ে ভারী শিশু বলে দাবি করেছেন ভারতের চিকিৎসকরা।
বিবিসি জানায়, ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের কর্ণাটক রাজ্যের একটি হাসপাতালে সিজারিয়ান বিভাগে শিশুটির জন্ম হয়। তাঁর মা নন্দিনীর বয়স ২০ বছর।
চিকিৎসকরা জানান, ভারী শিশুটির ওজন ছয় মাস বয়সী কোনো শিশুর সমান। শুধু ওজনই নয়, লম্বায়ও যেকোনো শিশুর চেয়ে বড় সে। নন্দিনী ও তাঁর সন্তানের দেখভালের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক এস আর কুমার বলেন, শিশুটি ৬২ সেন্টিমিটার (২৪ দশমিক ৪ ইঞ্চি) লম্বা। সাধারণ কোনো শিশুর উচ্চতা থাকে ৫০ সেন্টিমিটার।
কর্ণাটক রাজ্যের হাসান জেলার চিকিৎসা কর্মকর্তা ভেঙ্কাটেশ আর বিবিসিকে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত এটিই ভারতে জন্ম নেওয়া সবচেয়ে ভারী শিশু।’ তবে এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিশু কি না, তা নিয়ে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন।
শিশুর ওজন ও উচ্চতার কারণ খুঁজতে এরই মধ্যে গবেষণা শুরু করেছেন চিকিৎসকরা। সাধারণ মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে শিশুর ওজন তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। ভারী মেয়েসন্তান জন্ম দেওয়ার পরপরই নন্দিনীর শরীর পরীক্ষা করে দেখা যায়, তিনি ডায়াবেটিক সমস্যায় আক্রান্ত নয়।
চিকিৎসক কুমার বলেন, আলট্রাসনোগ্রাফি এবং রক্ত পরীক্ষা করে নন্দিনীর শরীরে কোনো জটিলতা পাওয়া যায়নি। শিশুর শরীর পরীক্ষার জন্য নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যেই এই পরীক্ষার ফল পাওয়া যাবে।
এর আগে ২০১৫ সালে নভেম্বরে উত্তর প্রদেশের ফেরদৌস খাতুন নামের এক নারী সবচেয়ে ভারী শিশুর জন্ম দেন। ছেলেশিশুটির ওজন ছিল ১৪ দশমিক ৭৭ পাউন্ড (৬ কেজি ৭০০ গ্রাম)।
বিশ্বের সবচেয়ে ভারী শিশুর জন্ম হয়েছিল ইতালিতে। ১৯৫৫ সালে জন্ম নেওয়া শিশুটির ওজন ছিল ২২ পাউন্ট ৮০ আউন্স বা ১০ দশমিক ২০০ গ্রাম।