খোলা বাজার২৪, রোববার, ০৫ জুন ২০১৬ : দেশে ইসলামিক স্টেটের (আইএসের) অস্তিত্ব নেই বলে সরকার যে দাবি করছে, সেটি প্রমাণ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক অনুষ্ঠানে শনিবার বিকেলে তিনি এই আহ্বান জানান। অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উদযাপন উপলক্ষে এর আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ-চীন সাংস্কৃতিক একাডেমী’।
মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন অস্থিতিশীল, অস্থিরতা ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়েছে। জঙ্গি উত্থান হয়েছে। একটি ঘটনা ঘটার পর আইএস বলছে, এটি তারা করেছে। আর সরকার বলছে, দেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই।’
তিনি বলেন, ‘এখন সরকারের কাজ হচ্ছে, যারা করছে এসব জঙ্গিদের ধরা। প্রমাণ করতে হবে, দেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই। দেশে আইএসের অস্তিত্বহীনতা প্রমাণ করতে না পারলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের চেয়ে বড় দুর্যোগ হতে পারে।’
চীনকে বাংলাদেশের বড় বন্ধু আখ্যায়িত করে ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরো নিবিড় হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন মাহবুবুর রহমান। একই সঙ্গে এশিয় অঞ্চলের উন্নয়নে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, মিয়ানমারকে নিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে চীন অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেন তিনি।
ইউপি নির্বাচনের সহিংসতার বিষয়টি তুলে ধরে মাহবুবুর রহমান বলেন, নির্বাচনে মানুষ মরছে, সংঘাত হচ্ছে। এটি কিসের নির্বাচন? নির্বাচন হয় ভালো কিছুর জন্য, মঙ্গলের জন্য। মানুষ ভালো লোককে নির্বাচিত করবে, যাতে তাদের মঙ্গল হয়। কিন্তু এখন নির্বাচনের নামে দ্বন্দ্ব আর রক্তের হোলিখেলা চলছে।
বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্পর্কের নেপথ্যে অতীশ দীপঙ্করের ভূমিকার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, চীন তাকে অনেক সম্মান করে। চীনে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের মাধ্যমে তিনি যেখানকার মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছেন। অহিংসার বাণী প্রচার করে তিনি চীনে এবং এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে গুরুত্ব্পূর্ণ অবদান রেখেছেন।
আয়োজক সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা মাহবুবুর রহমানের সভপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সুকোমল বড়ুয়া প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ব্যাপারী।