খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০১৬: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামে সোমবার দুপুরে প্রকাশ্যে আলফাজ উদ্দীন (৬৫) নামে এক সাবেক মেম্বরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো তিনজন। নিহত আলফাজ উদ্দীন হরিণাকুন্ডু উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের মৃত শাহাজ উদ্দীনের ছেলে।
এদিকে মৃত আলফাজ উদ্দিনের একমাত্র পুত্র ড্যানি আহামেদ বলেন, সোমবার বেলা দুইটার দিকে কের্টের মামলা নিয়ে ২ ভাগিনা ও ৩ ভাতিজা যথাক্রমে হাবিবুর,জাহিদ,সাইদুল,আকরাম ও লিটন আমাদের সাথে কথা কাটাকাটি করে। এক পর্যায়ে তারা ধরালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় আমার আব্বা আলফাজ ও আমাদের উপর। তিনি আরো জানান, এ সময় বাধা দিতে গেলে আমাকে সহ আমার আব্বা আলফাজ,চাচা সোলাইমান ও শফিউদ্দীন চাচা সহ আরো তিনজনকে কুপিয়ে জখম করে। আমার আব্বা আলফাজের ঘাড়ে,মাথায়,হাত,পাজোড়ে ধারালো অস্ত্রের কোপ লাগায় তিনি গুরুতর জখম হন পরে প্রচুর পরিমানে রক্ত ক্ষরনের কারনে মৃত্যু হয়।
তবে শফিউদ্দিন উথানের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেলে রেফার্ড করে কর্তব্যরত ডাঃ রেজিনা খাতুন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে শফিউদ্দিন উথান এখনও আশংকা মুক্ত নন।
হরিণাকুন্ডু থানার ওসি মাহাতাব উদ্দীন জানান, সোমবার বেলা দুইটার দিকে জমিজমা নিয়ে আলফাজের ভাগিনাদের সাথে আলফাজ উদ্দীনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা ধরালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় আলফাজের উপর। তিনি আরো জানান, এ সময় বাধা দিতে গেলে সোলাইমান, ড্যানি ও শফিউদ্দীন নামে আরো তিনজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। আলফাজের ঘাড়ে,মাথায়, হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপ লাগায় তিনি গুরুতর জখম হন।
তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ রেজিনা খাতুন মৃত বলে ঘোষনা করেন। ডাঃ রেজিনা খাতুন জানান, প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে অনেক আগেই আলফাজের মৃত্যু ঘটেছে।
আহত অন্যান্যদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে লাশ নিয়ে স্বজনদের আহাজারী করতে দেখা গেছে। হরিণাকুন্ডু থানার ওসি মাহাতাব উদ্দীন আরো জানান, বিস্তারিত জানতে আমি ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। আলফাজের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হরিণাকুন্ডু থানায় এখনো কোন মামলা হয়নি।
তবে মৃত আলফাজের ছেলে এক মাত্র ছেলে ড্যানি আহমেদ সুস্থ হলেই মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন আলফাজের জামাই মো:সালাম।