Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

16খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০১৬: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। তবে এমন কিছু ঘটেনি যে পুরো প্রতিষ্ঠানকেই ধুঁয়ে মুছে ফেলে দিতে হবে।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে মঞ্জুরি প্রস্তাবের বিরোধীতা করে এমপিরা যে বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রেক্ষিতে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের সম্পুরক বাজেট পাস হয়। এর আগে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ খাতে ২৩৮ কোটি দুই লাখ ৪৪ হাজার টাকা মঞ্জুরি দাবি করা হয়। এ দাবির বিরোধীতা করে বক্তব্য রাখেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজী, জাতীয় পার্টির নূরুল ইসলাম মিলন, নূরুল ইসলাম ওমর এবং ফখরুল ইমাম।
রুস্তম আলী ফরাজীর বক্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে অনেক দোষ-ত্রুটি হয়েছে বটে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে লুটপাটও হয়েছে। ফরাজী সাহেবের সাথে আমিও বলতে চাই, পুকুর চুরি নয়, সাগর চুরি হয়েছে।’
ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে বরাদ্দের বিরোধীতা করে এমপিরা বলেন, ‘গত সাত বছরে শুধু ব্যাংকিং খাতে ৩০ হাজার কোটি টাকা হরিলুট হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৮শ’ কোটি টাকার রিজার্ভ চুরি হয়ে গেলে। শুনা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তাও নাকি জড়িত। জনগণের টাকা লুট হচ্ছে কিন্তু জড়িতদের কিছুই হচ্ছে না। ব্যাংকিংখাত যদি প্যারালাইস হয়ে যায় তবে সর্বনাশ হবে। এজন্য আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে একটি কমিশন গঠনের মাধ্যমে সংস্কার করা দরকার। ব্যাংকিং খাতের ওপর জনগণের এখন কোন আস্থা নেই। পুঁজিবাজারেও বিনিয়োগকারীরা পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছে, অনেকে আত্মহত্যা পর্যন্ত করছে।
এর জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করেই এই সম্পুরক বাজেট আনা হয়েছে। তবে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে এমন কিছু ঘটেনি যাতে করে পুরো এই প্রতিষ্ঠানকেই ধুঁয়ে মুছে ফেলে দিতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি পুকুর চুরি নয়, সাগর চুরি হয়েছে। আমরা কিন্তু বসে নেই।
সুদের হার সুনির্দিষ্ট করার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে অর্থনীতির স্বাস্থ্যকে চাঙা করা, সুদের হার নির্ধারণ করা নয়। সুদের হার নির্ধারণ করে ব্যবসায়ী, ঋণ প্রদানকারী, বিনিয়োগকারীরা।