Sat. Jun 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

34খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১১ জুন ২০১৬: টোয়েন্টি২০ ও ওয়ানডে দুই ফরম্যাটের ক্রিকেটেই দারুণ অভিষেক। ক্যারিয়ার শুরু করতে না করতেই পেয়ে গেছেন তারকাখ্যাতি। ছিপছিপে সারল্যে ভরা মুখের মুস্তাফিজুর রহমান। ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশ্বরেকর্ড গড়ে সাতক্ষীরার এই পেসার এখন বাংলাদেশের ক্রিকেট গৌরবের অংশীদার।
মুস্তাফিজুর তার আর্বিভাবের সিরিজেই জানিয়ে দিয়েছেন নিজের আগমনী বার্তা। অফ-কাটার নামক বিধ্বংসী বোলিংয়েই দুই নাম্বারে থাকা ভারতকে একাই ধ্বসিয়ে দিয়েছেন।
মুস্তাফিজের রঙিন বোলিং নৈপূণ্যে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। একশ’ কোটির ভারতে মুস্তাফিজ বন্ধনায় মেতে উঠেছে মিডিয়া। বিশ্ব মিডিয়াতেও আলোচনায় ওঠে এসেছেন মুস্তাফিজ। স্বপ্ন বড় হচ্ছে ক্রমেই। সম্প্রতি মুস্তাফিজুরের লাইফস্টাইল, পছন্দ এবং ফ্যাশনের নানা কথা-উপকথা নিয়ে জানতে হলে পড়ে নিন এই প্রতিবেদন।
পুরো নাম : মুস্তাফিজুর রহমান।
ডাক নাম : মুস্তাফিজ।
ছদ্ম নাম : নেই; মুস্তাফিজ বলেই সবাই ডাকে।
প্রিয় মানুষ : আমার সবচেয়ে প্রিয় এবং কাছের মানুষ আমার মা এবং বাবা।
প্রিয় পোশাক : এটা নির্ভর করে কোথায় আছি তার উপর। বাড়িতে থাকলে একরকম পোশাক আর বেড়াতে কিংবা বাইরে গেলে অন্যরকম। বাড়িতে লুঙ্গি আর শার্টে আরাম পাই। ঢাকায় বেশিরভাগ সময় জিন্স প্যান্টের সঙ্গে শার্ট বা টি-শার্টে মানিয়ে নেই।
প্রিয় খাবার : গরুর মাংশের সঙ্গে খিচুরি আমার খুব ভালো লাগে। বাড়ির বাইরে থাকলেও এটা বাইরে থেকে কিনে এনে খাই; বেশি ফেভারিটতো তাই।
প্রিয় মুহূর্ত : জাতীয় দলের হয়ে ওয়ানডে এবং টোয়েন্টি২০ ম্যাচে দেশের হয়ে প্রথম বারের মত মাঠে নামার মুহূর্তটি এখন পর্যন্ত আমার প্রিয় মুহূর্ত।
প্রিয় পারফিউম : যখন যেটা পাই সেটাই ব্যবহার করি। সেভাবে উল্লেখ্যযোগ্য তেমন কিছু নেই।
প্রিয় রং : অনেকগুলো আছে, নীল, কালো ও সাদা আমার বেশি প্রিয়।
দেশে প্রিয় স্থান : আমার সমুদ্র খুব ভালো লাগে। তাই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার আমার দেশের মধ্যে। আর এটাই আমার পছন্দের জায়গা।
বিদেশে প্রিয় স্থান : দেশের বাইরে দুবাই ভালো লেগেছে। ওখানে সবকিছুই ছবির মতো গোছানো।
প্রিয় ছবি : সব ধরনের সিনেমাই কম বেশি দেখা হয়। তবে বিশেষ কোনো পছন্দের সিনেমা নেই।
প্রিয় গান : বাংলা সবরকম গানই আমি শুনি।
প্রিয় বই : বই তেমন একটা পড়ি না। তাই প্রিয় কোনো বই নেই।
ফ্যাশন আইডল : নেই।
দেশে প্রিয় খেলোয়াড় : মাশরাফি ভাই আমার প্রিয় ক্রিকেটার। তার মতো দেশসেরা বোলার হতে চাই। আরও চাই তার মতো ভাল মানুষও হতে। সেই চেষ্টাই আমি করে যাচ্ছি।
বিদেশে প্রিয় খেলোয়াড় : দেশের বাইরতো যাকে ফলো করি সেতো এখন খেলছে না। পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমিরের বল আমি অনেক আগে থেকেই ফলো করি। এখনও ইউটিউবে তার বোলিং-অ্যাকশন দেখি।
ক্রিকেট ছাড়া অন্য প্রিয় খেলা : ফুটবল আমার পছন্দের খেলা। তবে এখন অনুশীলন ছাড়া খুব একটা ফুটবল খেলা হয় না। আগে বাড়িতে গেলে বৃষ্টির মধ্যে ফুটবল নিয়ে মেতে ওঠতাম। সবাই কাদাপানিতে মাখামাখি হতাম। অন্যরকম ভাল লাগতো সেই সময়। তবে এখনো সময় পেলে বন্ধুদের নিয়ে ফুটবল নিয়ে নেমে পড়ি।
প্রিয় নায়ক ও নায়িকা : নেই। কম বেশি সবাইকে ভালো লাগে।
প্রিয় গায়ক ও গায়িাকা : সবার বাংলা গানই শুনি। বিশেষ কেউ নেই।
ফেসবুক-টুইটার : ফেসবুক ব্যবহার করি। তবে খুব কম।
বদ অভ্যাস : আপাতত কোনো বদঅভ্যাস নেই। চেষ্টা করব ভবিষ্যতে যেন কোনো খারাপ অভ্যাস না হয়।
শখ : মাছ ধরতে খুব ভালো লাগে। বাড়িতে এই কাজটা আমি খুব এনজয় করি। বড়শি পেতে কিংবা জাল মেরে মাছ ধরতে পারি আমি। বাইক চালাতেও পছন্দ আমার। একটা আইফোনের শখ। এইতো এগুলোই।
যাকে দেখতে পারেন না : আছে একজন তবে বলা যাবে না।
আপনি মানুষ হিসেবে কেমন : একজন মানুষ হিসেবে সব সময়ই ভালো থাকার চেষ্টা করি। কারো সঙ্গে আমার কোনো খারাপ সম্পর্ক নেই।
সব সময় মেনে চলেন : আমার কারনে যেন কোনো লোকজনের ক্ষতি না হয়; এগুলো খুব ভাল ভাবেই আমি মেনে চলি।
জীবনের অপ্রিয় সত্য : জীবনের অপ্রিয় কোনো সত্য নেই।
মন খারাপ হলে : বেশি বেশি মা-বাবার সঙ্গে কথা বলি। মন কেন খারাপ হয়েছে মা কিংবা বাবাকে এগুলো বলি। তখন এমনিতেই মন ভাল হয়ে যায়।
প্রথম প্রেম : (হাসি) এগুলো নিয়ে কী বলবো। আমি ছোট মানুষ, এখন এগুলোতে কেন পড়ব।
প্রেমের প্রস্তাব পেলে : আপাতত কোনো ইচ্ছা নেই। কেউ দিলেও লাভ হবে না। আপাতত কেউই ‘হ্যাঁ’ উত্তর পাবে না।
প্রিয় শটস : আগে ব্যাটসম্যানই ছিলাম। প্রিয় কোন শটস না, আমার ৬ মারতেই বেশি ভাল লাগে। সেটা মাঠের যেখান দিয়েই হোক না কেনো
প্রিয় ডেলিভারি : স্লো অফ কার্টারটাই আমার প্রিয় ডেলিভারি। এই বলটায় ব্যাটসম্যানরা বিভ্রান্ত বেশি হয়
ক্রিকেট কবে শুরু : ২০১০ সালের শেষের দিকে ক্রিকেট বলে আমার প্রথম শুরু
অবসর সময় কিভাবে কাটান : রুমে থাকলে বেশিরভাগ সময়ই গান শুনি। সব ধরনের বাংলা গানই আমার পছন্দ। বেশি গ্যাপ থাকলে সবার সঙ্গে ফোনে কথা বলি। এভাবেই ছুটির দিনটা কেটে যায়।