খোলা বাজার২৪, রোববার, ১২ জুন ২০১৬: জেলায় নিখোঁজ হওয়ার ৫ দিন পর মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় শনিবার সকালে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর সাথে জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি নওগাঁ সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে সংঘটিত হয়েছে। পুলিশের ধারনা মাত্র ১৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্যই তাকে হত্যা করে লাশ মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছে।
নওগাঁ সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ জাকিরুল ইসলাম পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন শিমুলিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র তুহিন (৩৫) গত ৬ জুন সোমবার গার্ক নামের একটি সমিতি থেকে ২০ হাজার টাকা ঋন উত্তোলন করেন। ২ হাজার টাকা দেনা পরিশোধ করে পরদিন ৭ জুন মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় ১৮ হাজার টাকা নিয়ে গরু কেনার জন্য রানীনগর উপজেলার ত্রি-মোহিনী হাটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পারিবারিকভাবে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। তুহিন গ্রামে যাদের সাথে মেলামেশা করে তাদের সবার নিকট খোঁজ করা হয়। এই অনুসন্ধানের ৪ দিন পর গত শুক্রবার তাদের একজন আভাস দেয় যে আব্দুল মজিদের বাড়ির আঙ্গিনায় কোদাল দিয়ে মাটি খনন করা হয়েছে। এই জায়গায় মাটি খনন করলে পাওয়া যেতে পারে। এই তথ্যের ভিত্তিতে নওগাঁ সদর থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়া হয। পুলিশ স্থানীয় এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে শনিবার সকালে ঐ গ্রামের মৃত মফিজ ফকিরের ঘরজামাই আব্দুল মজিদের বাড়ির আঙ্গিনায় উক্তস্থানে খুঁড়ে তুহিনের দুর্গন্ধযুক্ত লাশ উদ্ধার করে।।
এরই মধ্যে খননের প্রস্তুতি নেয়ার খবর শুনেই মৃত মফিজ ফকিরের পুত্র হাসান এবং তার ঘরজামাই ভগ্নিপতি আব্দুল মজিদ স্বপরিবারে পালিয়ে যায়। পুলিশ এলাকায় ব্যাপক অভিযান চালিয়ে উক্ত হাসান, সদরুল ইসলামের পুত্র জাকারিয়া, মৃত আব্দুল গফুরের পুত্র শুকুর আলী, হাসানের মা হাসনা বেগম ও স্ত্রী বর্নাকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ এ ব্যপারে একটি হত্যা মামলা লিপিবদ্ধ করে এবং লাশ ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসাপাতাল মর্গে প্রেরন করে। পুলিশের প্রাথমিক ধারনা ঐ ১৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নিতেই এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। কারন যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা সবাই সব সময় তুহিনে সাথে মেলামেশা করতো।
এদিকে লাশ উদ্ধারের পর পরই বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে আব্দুল মজিদের বাড়িতে ভাঙ্গচুর এবং অগ্নিসংযোগ করেছে।