Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

45খোলা বাজার২৪, রোববার, ১২ জুন ২০১৬: কাজী কামাল হোসেন,নওগাঁ: রোযা-রমজানে নওগাঁয় মুড়ির চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে শ্রমিকদের ব্যস্ততা। তবে মুড়ির চাউলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মুড়ির দামও বৃদ্ধি পেয়েছে এমনটাই জানা গেছে।
সরজমিনে নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় শোভা চিড়া ও মুড়ি মিলসে রবিবার বেলা ১১টায় গিয়ে দেখা যায়, কেউ মুড়ি প্যাকেটে তুলছেন, কেউ ওজন করছেন, কেউ প্যাকেটের মুখ তাপ দিয়ে বন্ধ করছেন। আবার কেউ প্যাকেটগুলো চেক করে দেখছেন কোন সমস্যা আছে কিনা।

এ মুড়ি কারখানায় ২৫জন মহিলাসহ প্রায় ৩০ জন শ্রমিক কাজ করেন। পারিশ্রমিক বেতন কম, ধৈর্য্য ও যতœ সহকারে কাজ করেন বলে মহিলাদের সংখ্যাই বেশি।

শ্রমিক বিলকিস জানান, সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি ওজনের কাজ করনে। আগের তুলনায় রোযার মাসে ব্যস্ততা বেড়েছে। আগে প্রতি সপ্তাহে ৪০০/৫০০ টাকা পেলেও এখন ৭০০/৮০০ টাকা পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। স্বামী না থাকায় এ কাজ করে তিনি এক মেয়েকে নিয়ে সংসার চালান।

এছাড়াও শ্রমিক লাভলি, সাবানা, মাহমুদা, কুলসুম, জোসনা সবারই ব্যস্ত সময় পার হচ্ছে। তাদের বাড়ি বিসিক শিল্পনগরীর আশপাশে। অনেকেই মুড়ি কারখানায় কাজ করে যা আয় হয় তা থেকে স্বামীকে সহযোগীতা করেন এবং সংসারের কাজে ব্যয় করেন।

টিম লিডার মনোয়ারা জানান, প্রায় ১৬/১৭ বছর থেকে এ কারখানায় কাজ করছেন। অন্য শ্রমিকদের তুলনায় তার পারিশ্রমিক ১শ টাকা বেশি পান। কে কি করছেন তা তদারকি করাই তার কাজ। এছাড়া মুড়ির প্যাকেটগুলো গুছিয়ে রাখা, ওজন চেক করে থাকেন।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ভূপেন জানান, তিনি সদর উপজেলার দুবলহাটি থেকে মুড়ি নিতে এসেছেন। রমজানের সময় ক্রেতাদের মুড়ির চাহিদা বেশি থাকে। আগে দিনে ১০/১২ কেজি মুড়ি বিক্রি হলেও এখন ২৫/৩০ কেজি বিক্রি হয়। তবে রমজানে মুড়ির দাম একটু বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি কেজি মুড়ি ৪৫/৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরীতে অবস্থিত শোভা চিড়া ও মুড়ি মিলস মালিক বরুন দাস জানান, মুড়ি চাউলের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় মুড়ি দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে ৫০কেজি ওজনের ব্রিআর-১৬ ও স্বর্ণা ধানের চাউলের বস্তা ১ হাজার ১শ’ টাকা দাম ছিল। এখন প্রতি বস্তার দাম ৪শ টাকা বেড়ে ১ হাজার ৫শ’ টাকা হয়েছে।

বরুন দাস জানান, আগে দিনে ৫০ কেজি ওজনরে ৪০/৪৫ বস্তা মুড়ি উৎপাদন হতো। এখন রমজানের সময় ১১০/১২০ বস্তা মুড়ি উৎপাদন হচ্ছে। আর এ মুড়ি নওগাঁ জেলাতে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। মুড়ির চাহিদাও বেড়েছে ব্যাপক। পাইকারি বিক্রি হচ্ছে খোলা ৪০ টাকা কেজি এবং প্যাকেট ৪৫ টাকা কেজি।

তিনি আরো জানান, বিসিক শিল্পনগরীতে বিদ্যুতের সমস্যাটা প্রকট। একটু ঝড় বৃষ্টি হলে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকেনা। শ্রমিকদের বসে বসে বেতন দিতে হয়। বিদ্যুৎ না থাকায় প্রয়োজনের তুলনায় মুড়ি উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছেনা।