Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

23খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০১৬: দারুণ ভিত গড়ার পর পর ইনিংসের শেষ অর্ধেকে গতি হারাল অস্ট্রেলিয়া। শুরুর ঝড়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের গতি ধরে রাখলেন মারলন স্যামুয়েলস। তার দুর্দান্ত ইনিংসটিই গড়ে দিল ব্যবধান। ত্রিদেশীয় সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সোমবার সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে অস্ট্রেলিয়ার ২৬৫ রান ক্যারিবিয়ানরা পেরিয়ে যায় ২৬ বল বাকি রেখেই। ৮৭ বলে ৯২ রান করে রান আউট হন স্যামুয়েলস। তবে দলকে জেতানো ইনিংসে ম্যাচ সেরা তিনিই।
নব্বইয়ে রান আউট হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ স্কোরার উসমান খাওয়াজাও। তবে এর আগে স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে মিলে দলকে গড়ে দিয়েছিলেন দারুণ ভিত্তি।
ম্যাচের প্রথম ওভারেই জেসন হোল্ডারের আউট সুইংয়ে স্লিপে ধরা পড়েন অ্যারন ফিঞ্চ। দ্বিতীয় উইকেটে ১৭০ রানের জুটি গড়েন খাওয়াজা ও স্মিথ।
আঙুলের চোটে ছিটকে যাওয়া ডেভিড ওয়ার্নারের জায়গায় ইনিংস শুরু করা খাওয়াজা যথারীতি খেলেছেন দৃষ্টিনন্দন সব শট। স্মিথের ইনিংসটি খুব নিয়ন্ত্রিত না হলেও বাজে বলকে দিয়েছেন প্রাপ্য সাজা।
৩০ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ১ উইকেটে ১৫৭। এরপর হুট করেই যেন গতি হারায় অস্ট্রেলিয়ান ইনিংস। রানে জোয়ার আনার মরিয়া চেষ্টায় স্মিথ (৭৪) আউট হয়েছেন ব্র্যাথওয়েইটকে আকাশে তুলে।
নব্বইয়ে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকা খাওয়াজাও শেষ করতে পারেননি কাজ। তৃতীয় রান নেওয়া চেষ্টায় রান আউট হয়েছেন প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি থেকে ২ রান দূরে।
এরপর মিচেল মার্শ, অভিষিক্ত ট্রাভিস হেড বা ম্যাথু ওয়েডরা শেষ দিকে তুলতে পারেননি ঝড়। জর্জ বেইলির ৫৬ বলে ৫৫ রানের ইনিংসটিই বলতে গেলে ২৬০ ছাড়িয়ে নিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়াকে।
আবারও বিশ্রাম পাওয়ায় ছিলেন না মিচেল স্টার্ক। ব্যাটিং উইকেটে ক্যারিবিয়ান ব্যাটিংয়ের চ্যালেঞ্জটা নিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়ান বোলিং। শুরুতেই অস্ট্রেলিয়াকে এলোমেলো করে দেন জনসন চার্লস ও আন্দ্রে ফ্লেচার। ৬ ওভারেই পঞ্চাশ ছাড়িয়ে যায় তারা, ১০ ওভারে ৭৪।
৩টি চার ও ২ ছক্কায় ২৭ করেন ফ্লেচার। আরেক পাশে ৩৮ বলে ৪৮ করেন চার্লস। শুরুর এই ঝড় সময় নিয়ে খেলার সুযোগ করে দেয় ড্যারেন ব্রাভোকে।
৬৩ বলে ৩৯ করেছেন ব্রাভো। তবু খুব একটা ভুগতে হয়নি দলকে, চারে নেমে স্যামুয়েলস ছিলেন যে আপন চেহারায়! মাঝে মাঝেই তার ব্যাটিংয়ে ছিল খানিকটা অস্বস্তি, হুট করেই আবার খেলেছেন দারুণ সব শট।
তার দুর্দান্ত ইনিংস শেষ হয়েছে আলসে রান আউটে। অ্যাডাম জ্যামপাকে টানা তিন বলে ছক্কায় স্পর্শ করেছিলেন নব্বই। পরে বলেই লেগ বাই নিতে গিয়ে উইকেট কিপার ওয়েডের সরাসরি থ্রোয়ে বিদায়। ৮ টি চার ও ৪ ছক্কায় ৮৭ বলে ৯২।
জয় তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের নাগালে। রামদিন-হোল্ডারকে এক ওভারে ফেরান নাথান কোল্টার-নাইল; পোলার্ডের চার-ছক্কায় তবু জয়টা এসেছে অনায়াসেই। ৭ ওভারে ৬টি ছক্কা হজম করেছেন লেগ স্পিনার জ্যামপা।
হারের পরও অবশ্য চার ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে অস্ট্রেলিয়া। তিনটি করে ম্যাচ খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পয়েন্ট ৮ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ৫।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ২৬৫/৭ (খাওয়াজা ৯৮, ফিঞ্চ ০, স্মিথ ৭৪, বেইলি ৫৫, মার্শ ১৬, হেড ১, ওয়েড ৫, ফকনার ৪*, কোল্টার-নাইল ১*; হোল্ডার ২/৪৪, টেলর ০/৩১, নারাইন ০/৪৪, ব্র্যাথওয়েট ২/৬০, বেন ০/৫২, পোলার্ড ২/৩২)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৫.৪ ওভারে ২৬৬/৬ (চার্লস ৪৮, ফ্লেচার ২৭, ব্রাভো ৩৯, স্যামুয়েলস ৯২, রামদিন ২৯, পোলার্ড ১৬*, হোল্ডার ০, ব্র্যাথওয়েইট ৩*; হেইজেলউড ০/৪৬, কোল্টার-নাইল ২/৬৭, ফকনার ১/৩১, হেড ০/২৯, মার্শ ০/৩০, জ্যামপা ২/৬০)।
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মারলন স্যামুয়েলস।