খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১৫ জুন ২০১৬: যশোর সদর ও ঝিকরগাছা উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ ও ‘গণপিটুনি’তে চারজন নিহত হয়েছে। সদর উপজেলায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তির লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ দুটি ঘটনা ঘটে।
নিহত চারজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তির লাশ রাত ৩টা ১০ মিনিটে যশোরের জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। আর গণপিটুনিতে নিহত তিনজনের লাশ সকাল ৮টা পর্যন্ত ঝিকরগাছার কৃষ্ণনগরে পড়ে ছিল।
যশোর : যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার কামালপুরে যশোর-মনিরামপুর সড়কের দুই ধারে গাছে দড়ি বেঁধে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। এ সময় ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ৮ থেকে ১০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পুলিশও চার রাউন্ড গুলি করে পাল্টা জবাব দেয়। পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে এক ডাকাত মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় সহযোগীরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়।’
‘পুলিশ গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
নিহত ব্যক্তির নাম জানাতে পারেননি ওসি। তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে চারটি গাছিদা, একটি রামদা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহার্য কিছু দড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।
ঝিকরগাছা : ঝিকরগাছা থানার ওসি মোল্লা খবির আহমেদ বলেন, রাত পৌনে ২টার দিকে ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে একদল ডাকাত ডাকাতি করতে যায়। এ সময় এলাকাবাসী টের পেয়ে তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে কয়েকজন খাল পার হয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু তিনজন খাল পার হতে না পারায় এলাকাবাসী তাদের ধরে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
ওসি আরো জানান, নিহত তিনজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
গত সোমবার ঝিকরগাছার কৃষ্ণনগর এলাকায় পুলিশের একটি দল অভিযানে যায়। সেখানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঝিকরগাছা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তৌহিদুল গুরুতর আহত হন। তিনি এখনো যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ গতকাল থেকেই কৃষ্ণনগরে বেশ কয়েকটি অভিযান চালায়। এর মধ্যেই গণপিটুনির ঘটনা ঘটল।