খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১৫ জুন ২০১৬: পাবনায় পদ্মার চরে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে, যাকে এটিএসআই সুজাউল ইসলাম হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
ঈশ্বরদী থানার ওসি বিমান কুমার দাশ বলছেন, বুধবার ভোর রাতে হার্ডিঞ্জ সেতুর পশ্চিম পাশে ‘পদ্মার চরে আখ ক্ষেতের ভেতরে’ গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে।
নিহত রুবেল হোসেন (২৪) ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের দিয়ারবাঘইল গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে।
পরিবারের কারও সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় এ ঘটনায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
ওসি বিমান কুমার বলছেন, পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই সুজাউল হত্যকাণ্ডের ‘প্রধান আসামি’ রুবেল এতোদিন পলাতক ছিলেন। ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে’ মঙ্গলবার বিকালে তাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ‘তার সহযোগী ইদ্রাককে ধরতে’ রুবেলকে সঙ্গে নিয়েই বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু হয়।
“ভোরের দিকে পদ্মার চরে গেলে সেখানে অবস্থান নিয়ে থাকা রুবেলের সহযোগীদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলি হয়। সে সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় রুবেল।”
ওসি বলছেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভলবার ও দুটি গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এই অভিযানে একজন এএসআই ও তিনজন কনস্টেবলও আহত হয়েছেন বলে তার ভাষ্য।
পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই সুজাউল ইসলামকে গতবছর ৪ অক্টোবর রাতের কোনো এক সময় হাত-পা, মুখ বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে ‘পাকশী নর্থ বেঙ্গল পেপার মিলের’ পেছনের একটি জঙ্গলে তার লাশ পাওয়া যায়।
ওই ঘটনায় ঈশ্বরদী থানার পুলিশের দায়ের করা মামলায় এর আগেও বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, গতবছর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে বা ‘ক্রসফায়ারে’ মোট ১৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ ধরনের ঘটনাকে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’ হিসেবে চিহ্নিত করে সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমালোচনা করে আসছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো।