খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১৫ জুন ২০১৬: গাজীপুরে আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে ‘পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন’ বলে জানিয়েছেন তাঁর ছেলে জাহিদ আহসান রাসেল।
আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় প্রধান আসামি বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রায়ে নয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ এবং ১১ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুর ১টায় বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এ রায়ের পর আদালত চত্বরে এক প্রতিক্রিয়ায় গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘এ রায়ে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারিনি। কেননা অনেক মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামির সাজা কমানো হয়েছে এবং অনেককে খালাস দেওয়া হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আমার বাবা একজন সৎ ও আদর্শবান রাজনীতিক ছিলেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা চাই, মূল আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দ্রুত কার্যকর করা হোক।’
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় সংসদ সদস্য আহসানউল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার পরের দিন তাঁর ভাই মতিউর রহমান টঙ্গী থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ২০০৪ সালের ১০ জুলাই অভিযোগপত্র দায়ের করে পুলিশ।
ঢাকার একটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। খালাস দেন দুই আসামিকে। দণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন, ১৭ জন কারাগারে, বাকি নয়জন পলাতক।
পরে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স এবং গত ২১ জানুয়ারি থেকে জেল আপিলের শুনানি শুরু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৮৩ ও ১৯৮৮ সালে পুবাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আহসানউল্লাহ মাস্টার। পরে ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। গাজীপুর-২ আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।