খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০১৬: মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রবেশের দুয়ারে অপেক্ষায় থাকা ১৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর অপেক্ষার অবসান হচ্ছে বৃহস্পতিবার দুপুরে।
ওই সময়ই তারা জানতে পারবেন, কোন কলেজে ভর্তি হয়ে ২০০৮ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিতে হবে তাদের।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বেলা সাড়ে ১২টায় সচিবালয়ে চলতি বছরের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির মেধাতালিকা প্রকাশ করবেন।
ওই তালিকা অনলাইনেও দেখা যাবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সুবোধ চন্দ্র ঢালী জানান।
মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১৪ লাখ ৫২ হাজার ৬০৫ জন পাস করে। এর মধ্যে ১৩ লাখ এক হাজার ৯৯ জন কলেজে ভর্তি হতে আবেদন করেছেন বলে বোর্ড কর্মকর্তাদের তথ্য।
এই হিসাবে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ এক লাখ ৫১ হাজার ৫০৬ জন এবার কলেজ ভর্তির আবেদন করেননি।
>> গত ২৬ মে থেকে ১০ জুন সকাল ১০টা পর্যন্ত একাদশে ভর্তির আবেদন নেওয়া হয়। আবেদনকারীদের মধ্যে নয় লাখ ৩৭ হাজার ৯৪৭ জন অনলাইনে এবং চার লাখ পাঁচ হাজার ৮৬৮ জন টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে এসএমএসে আবেদন করেন।
>> একাধিক কলেজে আবেদনের সুযোগ থাকায় এবার কলেজে ভর্তিতে আবেদনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ লাখ ৯২ হাজার ১৪০টি।
>> অনলাইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১০টি এবং এসএমএসের মাধ্যমে আরও ১০টিসহ মোট ২০টি কলেজে আবেদনের সুযোগ ছিল। একজন আবেদনকারী যতগুলো কলেজকে তার পছন্দক্রমে রাখছেন, সার্ভারে ততটি আবেদন হিসাব করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আসনের বিপরীতে নির্বাচিত তালিকা থেকে ১৮ থেকে ২২ জুন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি ২৩ থেকে ৩০ জুন।
আগামী ১০ জুলাই একাদশে ক্লাস শুরুর পর ১০ থেকে ২০ জুলাই বিলম্ব ফি দিয়ে ভর্তি হতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
এক বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি জানিয়েছে, শিক্ষার্থীরা তাদের আবেদনকৃত প্রতিটি কলেজে মেধা তালিকায় অথবা অপেক্ষমাণ তালিকায় ফলাফল পাবেন।
“রোল, বোর্ড, পাসের সাল ও রেজিষ্ট্রেশন নম্বর দিয়ে অনলাইনেও ফলাফল দেখা যাবে। আবেদনের সময় দেওয়া মোবাইলেও এসএমএস করে ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা তাদের আবেদনকৃত কলেজের নোটিশ বোর্ডেও ফলাফল দেখতে পারবেন।”
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন গ্রহণের প্রথম দিন ২৬ মে শুরুর কয়েক ঘণ্টা টেলিটকের মাধ্যমে এসএমএসে ফি জমা দিতে বিড়ম্বনায় পড়েন শিক্ষার্থীরা। অবশ্য পরে আর জটিলতার অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
গতবছর আবেদন জমা দিতে কোনো সমস্যা না হলেও মেধা তালিকা প্রকাশ করতে গিয়ে সার্ভার জটিলতা দেখা দেয়। এতে নির্ধারিত সময়ের তিন দিন পর শিক্ষার্থীরা ওই তালিকা দেখার সুযোগ পান।