Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

26kখোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৭ জুন ২০১৬: জেলায় পবিত্র রমজান মাসে ইফতার বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই দাম নিয়ে উদ্বেগ উৎকন্ঠায়। প্রতি বছরের মত এবারও রমজানের শুরু থেকেই ইফতার সামগ্রি বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছে শহরের ইফতার বিক্রেতারা। বিভিন্ন মুখরোচক ইফতার সামগ্রী বানিয়ে চেষ্টা করছে রোজাদারদের আকর্ষণ করার। একদিকে গরম তেলের ফুঁস ফুঁস শব্দ, অন্যদিকে ক্রেতাদের গম গম আওয়াজ। এর মধ্যে বিক্রেতাদের ডাকাডাকিতে মুখর হয়ে উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের ইফতারের দোকানগুলো। গত বারের তুলনায় এবার শহরের নিয়মিত ইফতার বিক্রয়কারী দোকানের পাশাপাশি মৌসুমি ফল বিক্রেতা বেড়েছে প্রচুর, সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে ইফতার সামগ্রীর মূল্যও। একই সঙ্গে বেড়েছে ক্রেতার সংখ্যাও। আজ বিকেলে সরেজমিনে ঘুরে এই দৃশ্য দেখা গেছে। তবে বরাবরের মত এবারও পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে হরেক রকমের ইফতারির পসরা নিয়ে অলিগলিতে বসা স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকানগুলোতে ইফতার বেচা-কেনার ধুম পড়েছে। আবার অভিজাত হোটেল রেস্তোরা গুলোতেও বিশেষ ধরণের মুখরোচক ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে প্রত্যেক বিক্রেতায় নিজ দোকানের সামনে বিশাল সামিয়ানাতে নিজস্ব ব্যানার লাগিয়ে ইফতারি বিক্রয় করছে। দাম যতই বেশিই হোক না কেন ইফতার কিনতে কেউ করছেন না কার্পণ্যতা। তাই দোকানিরা দেদারছে বিক্রি করছে হরেক রকমের ইফতার সামগ্রী। ঠাকুরগাঁও জেলার কয়েকটি বেশ বড় বড় রেস্তোরায় গিয়ে দেখা যায়, ইফতার বেচা-কেনার ব্যস্ততা। বিভিন্ন আইটেমের মধ্যে রয়েছে জিলাপি, ছোলা, পেঁয়াজু, কাবাব, আলু ও ডিম চপ, বেগুনী, মুরগীর গ্রীল, বিরিয়ানি এবং বোরহানিসহ অন্যান্য সামগ্রী। ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে দোকানের এক পাশেই অস্থায়ী চুলা বসিয়ে তৈরি হচ্ছে এসব ইফতার। তাছাড়াও শহর উপশহর এর অলিগলি সব ইফতার দোকানেই একই চিত্র দেখা যায়। উল্লেখ্য, ইফতার কিনতে আসা, ইমরাম আলী, বিপ্লব ও আরিফ আহ্ম্মেদ জানান, বাসায় যত ইফতারই তৈরি হোকনা কেন ইফতারের দোকানগুলোর হরেক আইটেমের ইফতার সত্যিই সু-স্বাদু। তাই লোভ সামলাতে পারিনা বলে ছুটে আসি ইফতারির দোকানে। অন্যদিকে, এবার রমজানে মৌসুমি ফল আম, লিচু, কাঠাল, পেঁপে, আনারস ও পেয়ারা প্রায় প্রতি বছর রমজানে চাহিদা মত পাওয়া গেলেও এই রমজানে পাওয়া যাচ্ছে না পেয়ারা ও আনারস। পেয়ারা বিক্রেতা শামিম জানায়, এবারের রমজান কেমন জানি? পেয়ারা উঠতে আরও সময় লাগবে ১০-১৫ দিন। আনারস বিক্রেতা রবিউল জানায়, আমরা আনারস বাহিরে থেকে আনি। এবার আনারস বাজারে আসতে আরও ১০-১৫ দিন সময় লাগবে। তবে কিছু কিছু আনারস বাজারে পাওয়া গেলেও তা দামে ক্রেতাদের হাতের নাগালের বাহিরে বলে জানা যায়।