খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৭ জুন ২০১৬: আগাম ঘোষণা দিয়ে ১০ জুন থেকে শুরু হওয়া দেশজুড়ে সপ্তাহব্যাপী জঙ্গিবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান শুক্রবার ভোরে শেষ হয়েছে। চলমান অভিযানে ১৯৪ জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৪ জন জঙ্গির মধ্যে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) ১৫১ জন, জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশে সাতজন, হিযবুত তাহরিরের ২১ জন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) ছয়জন, আনসার আল ইসলামের তিনজন, আল্লাহর দলের চারজন, হরকাতুল জিহাদের একজন ও আফগানিস্তান থেকে ফেরত একটি জঙ্গি সংগঠনের একজন সদস্য রয়েছেন। প্রথম দিনে জঙ্গি সন্দেহে ৩৭, দ্বিতীয় দিনে ৪৮, তৃতীয় দিনে ৩৪, চতুর্থ দিনে ২৬, পঞ্চম দিনে ২১ জন ও ষষ্ঠ দিনে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ধরা পড়েছে ১৭ জঙ্গি। এদের কাছ থেকে একটি পাইপগান, একটি শাটারগান, একটি, দুটি ককটেল, একটি রামদা, একটি চাপাতি ও ১৪টি উগ্রপন্থী বই উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ৫ জুন চট্টগ্রামে খুন হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এরপর গত বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হকের নেতৃত্বে সভা হয়। সেখান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়, শুক্রবার থেকে দেশব্যাপী জঙ্গিবিরোধী অভিযান শুরু হবে। তবে বাবুল আক্তারের স্ত্রীকে হত্যার পর থেকে দেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন ১৩ জন। তাদের মধ্যে সন্দেহভাজন জঙ্গি নিহত হয়েছেন পাঁচজন। বাকিরা ছিনতাইসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে দাবি করছে পুলিশ।
জঙ্গিবিরোধী অভিযান সম্পর্কে জানতে গত বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট। ‘এত বেশি সংখ্যক’ গ্রেফতার নিয়েও প্রশ্ন ছিল তার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশে ৬৩০টি থানা রয়েছে। প্রতিটি থানায় যদি গড়ে ২০ জনও গ্রেফতার হয়, তাহলে সংখ্যা অনেক বেশি হয়।