খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০১৬: মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার বেতাহুঞ্জা গ্রামের ইউপি মেম্বার কমরুদ্দিনের বিরুদ্ধে ভোট না দেবার কারনে এক বিএনপি নেতাকে গ্রামের মসজিদের ইমামের বেতন দিতে মানা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে কমরুদ্দিন মেম্বার, এংগই মিয়া ও গুলজার মিয়াকে আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ফতেপুর ইউনিয়ন বিএনপি,র সাধারন স¤পাদক সামছু মাষ্টার। কিন্তু আসামী পক্ষের বক্তব্যে মিলছে ভিন্ন তথ্য।তাদের মতে সামছু মাষ্টার উক্ত গ্রামের বাসিন্ধা হলেও কমরুদ্দিন মেম্বারের গোষ্টির লোক না হবার কারনে,তাকে মসজিদের ইমামের বেতন দিতে মানা করা হয়েছে। তবে মসজিদে আসতে মানা করা হয়নি। থানায় দাখিলকৃত লিখিত অভিযোগে সামছু মাষ্টার উল্যেখ করেন, আসামী কমরুদ্দিন মেম্বারের দল এলাকায় একদলীয় দাংগাবাজ ও চাঁদাবাজ।এর আগে বিবাদী কমরুদ্দিন মেম্বার উক্ত গ্রামের হাকিম মিয়ার কাছ থেকে ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদা দাবী করলে হাকিম মিয়া মাননীয় আদালতে মামলা করেন। এছাড়া বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে কমরুদ্দিন মেম্বারের বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলেও সামছু মাষ্টার তার লিখিত অভিযোগে উল্যেখ করেন।প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে সামছু মাষ্টার জানান, বিবাদী কমরুদ্দিন মেম্বার সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে একজন মেম্বার প্রার্থী ছিলেন।ইউপি নির্বাচনে তিনি কমরুদ্দিন মেম্বারের প্রতিদন্ধী প্রার্থীকে সমর্থন করার কারনে,বিগত ত্রিশ বছর ধরে তিনি মসজিদের ইমামের বেতন সহ মসজিদের উন্নয়ন কাজে সকল প্রকার আর্থিক সহযোগিতা করার পর সুধু নির্বাচনে কমরুদ্দিন মেম্বারের বিরোধিতা করায় তাকে মসজিদের ইমামের বেতন ভাতা দেওয়া নিষেধ করা হয়েছে।এবং বলা হয়েছে মসজিদে আসতে হলে ৫০ হাজার টাকা কমরুদ্দিন মেম্বারকে দিয়ে আসতে হবে।স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা যায়,সামছু মাষ্টার বিগত কয়েকবছর ধরে মসজিদের ইমামের বেতন দিয়ে আসছেন।মসজিদের ইমামের বেতন যারা নিয়মিত দেয় তারা স্থানীয় পঞ্চায়েতের মানুস।কিন্তু অজ্ঞাত কারনে কমরুদ্দিন মেম্বার কয়েকদিন আগে মসজিদ কমিঠিকে মানা করে দিয়েছেন সামছু মাষ্টারের কাছ থেকে ইমামের বেতন না নেওয়ার জন্য।কমরুদ্দিন মেম্বারের পক্ষের লোকজন জানান, বেতাহুঞ্জা গ্রামে ইদানিং বাহিরের অনেক মানুস এসে বাসা-বাড়ী নির্মাণ করে বসবাস করছে।তাই বলে তারা স্থানীয় পঞ্চায়েতের হতে পারেনা। সামছু মাষ্টার যদি ইমামের বেতন দেন,তাহলে তিনি পঞ্চায়েতের মানুস হিসাবে গণ্য হবেন,আর তিনি পঞ্চায়েতে থাকতে পারলে বাহির থেকে আসা স্থায়ী বাসা-বাড়ীর মালিক তারাও পঞ্চায়েতে থাকার অধিকার রাখে।এজন্য ইমামের বেতন না দিয়ে মসজিদে আসা-যাওয়া করার জন্য গ্রামের মাতব্বর হিসাবে কমরুদ্দিন মেম্বার সামছু মাষ্টারকে অনুরোধ জানিয়েছেন। এদিকে সামছু মাষ্টার বলছেন,নির্বাচনের প্রতিহিংসায় তাকে এমন কথা বলছেন কমরুদ্দিন মেম্বার। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে স্থানীয় এলাকাবাসী। রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাছিত জানান,সামছু মাষ্টারের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে,তদন্তের জন্য এস,আই দৌস মোহাম্মদকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার(এসপি) শাহজালাল জানান,বিষয়টির ব্যাপারে আমি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখতাছি।