Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

Naogaon-Pic_23-06-16খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০১৬: নওগাঁ : ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকী। নওগাঁ শহরের ব্রীজের মোড়ে ফুটপাতে পোশাকের দোকানগুলোতে স্বল্প আয়ের মানুষদের ভীড় বাড়তে শুরু করেছে। সব দোকানেই নতুন পোশাকে ভরপুর। স্বল্প দামে ও সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পোশাক পাওয়া যায় বলে ফুটপাতের দোকানে ছুটে আসেন স্বল্প আয়ের লোকজন। ফুটপাতের দোকানগুলোর জন্য কোন ভাড়া দিতে হয় না। ক্রেতাদের দৃষ্টি আর্কষনের জন্য নেই কোন আলোর সৌন্দর্য, ঝলকানি ও কর্মচারী। ফলে স্বল্প লাভে ফুটপাতের বিক্রেতারা ক্রেতাদের দরদামে পোশাক দিয়ে থাকেন। ক্রেতারাও সাচ্ছন্দে নিয়ে থাকেন দুধের সাধ ঘোলে মেটানোর জন্য। ফুটপাতের দোকান গুলোতে মূলত ছোটদের শার্ট, টি শার্ট, গেঞ্জি, হাফ ও ফুল জিন্স প্যান্ট বেশি বিক্রি হয় বলে জানান বিক্রেতারা। ক্রেতা মাহাবুব হোসেন জানান, আমরা নি¤œ আয়ের মানুষ। বড় দোকান গুলো থেকে আমার পক্ষে প্যান্ট কেনা সম্ভব নয়। এজন্য ছেলেকে এখানে নিয়ে এসেছি প্যান্ট কিনতে। ছেলের পছন্দমতো ২৫০ টাকা দিয়ে জিন্স প্যান্ট কিনে দিলাম। জোসনা বেগম ছেলের জন্য অনেক বেছে একটি শার্ট পছন্দ করেছেন। দোকানদার ২শ’ টাকা চাইলে তিনি ১৮০ টাকা দাম বললেন। অবশ্য ১৮০ টাকা দিয়েই ছেলের জন্য শার্টটি কিনলেন। জোসনা বেগম বলেন, আমাদের তো বয়স হয়েছে। ঈদের আনন্দতো বাচ্চাদেরই জন্য। এছাড়া স্বপন হোসেন, আলতাফ হোসেন, জয়নালসহ অনেকেই ছুটে এসেছেন ফুটপাতের দোকানে ঈদের নতুন পোশাক কেনার জন্য। ফুটপাতের দোকানদার শাকিল হোসেন জানান, আমরা নিজেরাই ব্যবসা করি। কোন কর্মচারী রাখার দরকার হয়না। আমরা স্বল্প লাভে অন্য দোকানের তুলনায় কম দামে পোশাক বিক্রি করতে পারি। রমজানের শুরু থেকেই বিক্রি বেশ ভালো। তবে বেচা বিক্রি আরো বাড়বে। দোকানদার আলাউদ্দিন জানান, শুধু নি¤œ আয়ের নয় মধ্যবিত্তরাও আসেন আমাদের দোকানে। দাম একটু কম পাওয়া ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দে নিতে পারেন। যা আয় হয় তা দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে আল্লাহ দিন পার করেদেন। তিনি আরো জানান, বড় বড় দোকানে পোশাকের দাম অনেক বেশি থাকে। কর্মচারী, আলোর ব্যবস্থা, দোকান ভাড়া সবদিক দিয়ে তাদের অনেক দাম রাখতে হয়। ফলে নি¤œ আয়ের লোকজনের পক্ষে কেনা সম্ভব হয়না। ফুটপাত কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুস সাত্তার জানান, জায়গাটি রোডস এন্ড হাইওয়ের বলে কয়েকবার সবাইকে উঠিয়ে দিয়েছিল। ফুটপাতে দশটি কাপড়ের দোকান আছে। এখন সবাই নওগাঁ পৌরসভা থেকে লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করেছন। বছরের ২৫০ টাকা দিয়ে লাইসেন্স করতে হয়। তবে বর্তমানে কোন সমস্যা হয়না।