খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৭ জুন ২০১৬: যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) থাকার পক্ষে আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, ইইউকে দুর্বল করার লক্ষ্যে গণভোটের সময় গোপনে ব্রেক্সিটকে (ইইউ ছাড়ার) সমর্থন দিয়েছে রাশিয়া। ইইউতে থাকার পক্ষে আন্দোলনকারী ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন নিজেই বলেছেন, যুক্তরাজ্য ইইউ ছেড়ে গেলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হয়তো খুশিই হবেন।
পুতিন কি যুক্তরাজ্যের ইইউ ছেড়ে যাওয়ায় সত্যিই খুশি হয়েছেন? আর ক্রেমলিনই কি ব্রেক্সিটের পক্ষে? প্রকাশ্যে অন্তত নয়।
যুক্তরাজ্যের গণভোটে ব্রেক্সিটের জয়ের পর ভ্লাদিমির পুতিন সাংবাদিকদের বলেন, এটি ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ধরনের প্রভাই পড়বে। নেতিবাচক প্রভাবের মধ্যে তিনি অর্থবাজারে প্রতিক্রিয়ার কথা বলেন। কিন্তু ব্রেক্সিটের কারণে রাশিয়ার জন্য ইতিবাচক কী ঘটবে?
ব্রেক্সিটের জয়ের পরপরই যুক্তরাজ্য ও ইইউর অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ভবিষ্যতে কী ঘটবে? যুক্তরাজ্য কি ভেঙে যাবে? ইইউর অন্যান্য দেশই কি সংগঠন ছেড়ে যাবে? এমন অনেক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা করে ইইউ। এখন ব্রেক্সিটের কারণে ইইউ চাপে পড়েছে।
রাশিয়ার পার্লামেন্টের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির প্রধান কনস্টানটিন কোসাচেভ দেশটির লাইফ টিভিকে বলেন, ‘ইইউর কারণে আমাদের সমস্যার কথা চিন্তা করলে ইইউর নিজের ঝামেলায় পড়া নিয়ে আত্মতৃপ্তি হতেই পারে।’ তবে কনস্টানটিন এও বলেন, ইইউ রাশিয়ার সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদারই থাকবে। তাই ইইউ ভেঙে পড়লে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
মস্কো শহরের মেয়র সের্গেই সবইয়ানিন মনে করেন, ব্রেক্সিটের কারণে রাশিয়ারই জয় হয়েছে। এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে ইইউ ছাড়লে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য চাপ দেওয়ার আর কেউ থাকবে না। তিনি মনে করেন, ইইউভুক্ত সব দেশের মধ্যে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে সবচেয়ে আগ্রহী যুক্তরাজ্য।