খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৭ জুন ২০১৬: এস.এম.আবু ওবাইদা-আল-মাহাদী, কুষ্টিয়া :পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে কুষ্টিয়া ব্যস্ত হয়ে পড়েছে দর্জিপাড়ার কারিগররা। ঈদের আনন্দতে নতুন জামা কাপড় থাকবে না তাকি হয়। পবিত্র ঈদ উল ফিতরকে সামনে রেখে তাই নতুন জামা কাপড় তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছে দর্জি কারিগররা। তাদের হাতে যেন মোটেও সময় নেই, কেননা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তৈরি পোশাক সরবরাহ করতে হবে।
তাই পছন্দের পোশাক বানাতে দর্জির দোকানগুলোতে ভিড় করছেন শৌখিন গ্রাহকরা। কেননা বাজার থেকে কেনা বাহারি পোশাকের দাম যেমন চড়া তেমনি মাপেও সঠিক হয় না।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা’র বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, দর্জির দোকানে অর্ডারিরা ভিড় করছেন। উৎসব আসলেই মার্কেটগুলোতে নারীদের পদচারণাও বাড়তে থাকে। দর্জির দোকানগুলোতে নারীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
মার্কেটে আসা দুজন গৃহিণী আমেনা খাতুন ও মোছাঃ শাবনূর জানান, ছেলেমেয়েদের চাহিদা অনুযায়ী একটু ভালো কাপড় কিনে বাহারি পোশাক তৈরির জন্য দর্জির দোকানে এসেছি। কিন্তু দর্জিরা অর্ডারের ভিড়ে মজুরিও অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে। এরপরও বাধ্য হয়ে পোশাক তৈরির জন্য তাদের কাছে আসছি। ভেড়ামারা মধ্যবাজারের আল-মাহাদী সুপার মার্কেট এর সামনে এনামূল ক্লথ ষ্টোরের মালিক মীর এনামূল ইসলাম জানান, এ বছর ক্রেতারা কাপড় কিনে বিভিন্ন দর্জির দোকানে তাদের পছন্দমাফিক পোশাক বানাচ্ছে।
এদিকে দর্জি দোকান গুলোতে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ করে বিরতি-হীনভাবে রাতভর পোশাক তৈরির কাজ চলছে। ফলে তাদের ফুরসত নেই। দর্জিদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় মানসম্পন্ন পোশাক তৈরির জন্য অর্ডারিরা ছুটছেন বিভিন্ন দোকানে।
ভেড়ামারা রেলবাজারের নিউ বর্ণালী টেইলার্সের মালিক মোঃ আবুল হোসেন জানান, প্রথম রমজান থেকেই কাজের চাপ শুরু হয়েছে এবং ব্যস্ততা বেড়ে যাবার পরও এখনো অর্ডার নিচ্ছি। কারণ, দর্জি কারিগর বেশি থাকার ফলে কাজের কোনো অসুবিধা নেই। তাদের যেন দম ফেলার সময় নেই। কেউ মাপ নিচ্ছে, কেউ কাপড় কাটছে, কেউ আবার সেলাই করছে, কেউবা বোতাম লাগিয়ে ইস্তারী করে অর্ডার বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য তৈরি জামা সাজিয়ে রাখছে।
মোছাঃ নাহিদা আক্তার তৃপ্তি জানান, ঈদের সময় সবাই চায় নতুন পোশাক পরতে। রেডিমেড দোকানে একই নকশার অনেক পোশাক থাকে। তাই নিজের পছন্দ মতো কাপড় কিনে বানাতে দেই।
আল-মাহাদী সুপার মার্কেটের মা টেইলার্সের মালিক মোঃ রবিউল ইসলাম রবি জানান, ঈদ উপলক্ষে আমাদের অর্ডার বেশ ভালই। আগে যেই অর্ডারগুলো নিয়েছি সেই কাজগুলো শেষ করতে পারি কিনা তা নিয়ে সংশয়ে আছি।