Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

34খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০১৬: চট্টগ্রামে আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যার তদন্ত চলছে মিতুর ব্যবহৃত মোবাইলের কললিস্টের সূত্র ধরে। যদিও মিতু হত্যার পর থেকে মোবাইলটিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত একজনের কাছ থেকে মোবাইলটি উদ্ধার করে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের একজন মিতুর মোবাইল ব্যবহার করে কয়েকটি জায়গায় যোগাযোগ করেছেন। সেখানে এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে ইঙ্গিতপূর্ণ কিছু কথা রয়েছে। গোয়েন্দারা এ তথ্যের সূত্র ধরে আরো নতুন কিছু ক্লু পেয়েছেন।
তিনি জানান, এ সব কারণেই মিতুর স্বামী এসপি বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিতু হত্যা তদন্তের সামনে অনেক জটিল সমীকরণ অপেক্ষা করছে। প্রধান ‘পরিকল্পনাকারী’ সামনে আসবেন কি-না তা নিয়েও রয়েছে নানা হিসাব।
পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, মিতু হত্যার পরিকল্পনাকারীরা, এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চেয়েছেন। মিতু হত্যা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ নাকি ক্রোধ সংবরণ করতে না পেরে পরিকল্পনাকারী অবিশ্বাস্য এক নোংরা পথ বেছে নিয়েছেন সেই প্রশ্নও উঠছে। কেন বাবুলের দুই সোর্স হত্যাকাণ্ডে জড়ালেন? তাদের কে ব্যবহার করেছেন? এই হত্যাকাণ্ডে অন্য কোনো চক্র রয়েছে কি-না, সে প্রশ্ন উঠেছে। তবে পরিকল্পনাকারীরা বিষয়টি জঙ্গিদের ওপর চাপানোর সব চেষ্টাই করেছেন, এটা নিশ্চিত। পুরো তদন্ত কার্যক্রম এখন গোলকধাঁধায় পড়েছে। শিগগিরই হয়ত মূল পরিকল্পনাকারী আটকের বিষয়টি সামনে আসতে পারে।
বাবুলের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন এ বিষয়ে বলেন, মেয়েকে হারিয়েছি। এখন আমরা সঠিক তদন্ত চাই।
গত ৫ জুন চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।