Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

13খোলা বাজার২৪, শনিবার, ০২ জুলাই ২০১৬: বাংলাদেশ থেকে বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পা রাখতেই দেশটির ইমিগ্রেশন কর্মকর্তার হাতে আক্রান্ত হলেন বাংলাদেশি এক পরিবার।
শুক্রবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পেট্রাপোল সীমান্তে সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবারটির সঙ্গে ঘটনাটি ঘটে। এ সময় ছেলে ও মেয়ের সামনে বাবা-মাকে এবং বাবা-মায়ের সামনে ছেলে ও মেয়েকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় পুলিশ এবং সংবাদমাধ্যমের কাছে বাংলাদেশি পরিবারের অভিযোগ, বাংলাদেশের বেনাপোল পেরিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে আজ বিকেলে সপরিবারে ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তে পা রাখেন ঢাকার ধানমণ্ডির বাসিন্দা সূর্যকান্ত সাহা। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মধ্যগ্রামে এক আত্মীয়র বাড়িতে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে তিনি ভারতে যাচ্ছিলেন।
আসন্ন ঈদের কারণে পেট্রাপোল সীমান্তে ইমিগ্রেশনে লম্বা লাইন ছিল। সূর্যকান্ত সাহাও সেই লাইনে দাঁড়ান। সেই সময়েই ঝমঝমিয়ে শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই পেতে ইমিগ্রেশন বিল্ডিংয়ের ছাদের তলায় বাকি যাত্রীদের সঙ্গে আশ্রয় নেয় বাংলাদেশি পরিবারটি। এই সময় ভিড়ের চাপে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ভারতীয় ইমিগ্রেশন দপ্তরের একটি সাইনবোর্ড সূর্যকান্ত সাহার ছেলে সৌরভ সাহার গায়ে লেগে পড়ে যায়। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হন পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন দপ্তরের এক কর্মকর্তা।
এই ঘটনায় কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সৌরভকে মারধর করেন ওই কর্মকর্তা। তাঁর সঙ্গে আরো বেশ কয়েকজন কর্মী এসে সৌরভকে মারধরে যোগ দেন বলেও অভিযোগ। ছেলেকে বাঁচাতে গেলে মারধর করা হয় তাঁর মা সুরভী সাহাকেও। সুরভী সাহার শাড়ি ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এমনকি মারধরের হাত থেকে রক্ষা পায়নি সৌরভের বোন সুজনী সাহাও। সুজনী ঢাকার একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
এরপর কোনোমতে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে পরিবারকে নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় বনগাঁ থানায় আসেন সুর্যকান্ত সাহা। বনগাঁ থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ করেন সৌরভ সাহা। সৌরভ বলেন, ‘পেট্রাপোলের ইমিগ্রেশনের এক কর্মকর্তা সামান্য কারণে আমাকে, আমার মা ও বোনকে মারধর করেন। আমার জামার কলার ধরে ব্যাপকভাবে মারেন আমাকে। বিষয়টির ন্যায়বিচার চেয়ে ওই অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে বনগাঁ থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।’
এই বিষয়ে বনগাঁর এসডিপিও অনিল রায় জানান, ‘এ রকম একটা ঘটনার কথা শুনেছি। বিষয়টির খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। আইনত কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে নিশ্চয়ই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।