Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

9kখোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১২ জুলাই ২০১৬: সাতক্ষীরা সদর ও দেবহাটা উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এ দুটি ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ দুই যুবক হলেন সাতক্ষীরা পৌর এলাকার মধুমোল্লারডাঙ্গির বিশ্বজিৎ সরকার (২০) ও দেবহাটার বালিয়াডাঙ্গার মো. নুরুজ্জামান (২৪)। পুলিশ পাহারায় তাঁদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা ও মাদক চোরাচালানের পৃথক মামলা হয়েছে।
পুলিশের ভাষ্য, গুলিবিদ্ধ দুজনই মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত।
তবে গুলিবিদ্ধ যুবকদের পরিবারের দাবি, এ দুজনকে দুদিন আগে তুলে আনে পুলিশ। পরে তাঁদের মাদক চোরাকারবারি সাজিয়ে পায়ে গুলি করে পুলিশ।
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন জানান, ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই এমদাদ মাদক বেচাকেনার খবর পেয়ে একদল টহল পুলিশ নিয়ে গতকাল গভীর রাতে সদর উপজেলার ইসলামপুরের বেজেরডাঙ্গায় যান। সেখানে সন্ত্রাসীরা তাঁদের লক্ষ্য করে বোমা মারে। জবাবে পুলিশ গুলি ছুড়লে এক ব্যক্তি আহত হন। আহত বিশ্বজিৎ সরকার একজন মাদক চোরাকারবারি। তাঁর কাছ থেকে ১০০টি ইয়াবা ও কয়েক বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়েছে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যায়।
তবে বিশ্বজিতের পরিবারের দাবি, তাঁকে গত রোববার সাতক্ষীরা বাস টার্মিনাল থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
বিশ্বজিতের মা সুষমা সরকারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিশ্বজিৎকে ছাড়ানোর জন্য একাধিক সাংবাদিকের শরণাপন্ন হন তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে চাইলেও পুলিশ তা নেয়নি। দুদিন পর বিশ্বজিৎকে মাদক চোরাকারবারি সাজিয়ে পায়ে গুলি করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে, একই রাতে দেবহাটায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নুরুজ্জামান নামের একজন গুলিবিদ্ধ হন।
এ বিষয়ে এসআই কামাল হোসেন জানান, একই রাতে দেবহাটা থানার এসআই নাজমুল আলম ও এসআই মাসুদুজ্জামান মাদক বেচাকেনার গোপন সংবাদ পেয়ে পুষ্পকাটি গ্রামের ইটভাটার কাছে যান। তাঁদের ওপর বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এর জবাবেও পুলিশ গুলি ছুড়লে নুরুজ্জামান গুলিবিদ্ধ হন। তিনিও একজন মাদক চোরাকারবারি।
এসআই জানান, বন্দুকযুদ্ধের সময় ঘটনাস্থল থেকে ভারতীয় ফেনসিডিল ও মদ জব্দ করা হয়েছে। নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় দুটি চোরাচালান মামলা রয়েছে।
তবে নুরুজ্জামানের বাবা আমিনুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, তাঁর ছেলেকে দুদিন আগে এসআই নাজমুল বাড়ি থেকে তুলে আনেন। তাঁকে কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইমাদুল ইসলামের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়।
ইমাদুল পুলিশকে জানান, ইউপি নির্বাচনে নুরুজ্জামান ও তার পরিবার তাঁর (ইমাদুল) পক্ষে কাজ করেনি। সে পরাজিত প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুল হকের লোক। আসাদুল তাকে ছাড়ানোর জন্য পুলিশের সঙ্গে কথাও বলেছেন।
নুরুজ্জামানের বাবা অভিযোগ করে বলেন, ‘নতুন চেয়ারম্যান ইমাদুলের উসকানিতে আমার ছেলেকে মাদক চোরাকারবারি সাজিয়ে পায়ে গুলি করেছে পুলিশ।’