খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০১৬: মোঃ মোস্তাক আহমেদ মনির, জামালপুর : জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেন জয়ের বিরুদ্ধে প্রায় ১৫ লাখ টাকা মূল্যের সরকারি গাছ কেটে আত্মসাত চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান ও উপজেলা প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছগুলো জব্দ করেন। এ ঘটনায় থানায় সাধারন ডায়েরি করা হয়েছে বলে প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পিংনা ইউনিয়নের বারইপটল-ফুলদহের পাড়া সড়কের দুই পাশে বেড়ে ওঠা সরকারি ১১টি মেহগনি গাছ গত বুধবার প্রকাশ্যে ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেন জয় করাতকল শ্রমিক নিয়ে অবৈধভাবে কর্তন করেন। এতে এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মোবাইলে বিষয়টি জানান।
উপজেলা এলজিইডি সুত্রে জানা গেছে, ১৯৯০ সালে বারইপটল-ফুলদহের পাড়া সড়কের দুই পাশে স্থানীয় সাজেদা-মমতা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এলজিইডির সাথে চুক্তিতে মেহগনি গাছ রোপন করে। গাছগুলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ইউনিয়ন পরিষদ ও সাজেদা-মমতা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট সমান অংশীদার। বর্তমানে গাছগুলো কর্তনযোগ্য হওয়ায় ট্রাস্টের সদস্য সচিব আজিজুল আলিম গত বছরের ৪ নভেম্বর এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। অনুমতি প্রাপ্তির আগেই প্রশাসন ও বন বিভাগের অগোচরে ইউপি চেয়ারম্যান অবৈধভাবে গাছগুলো কেটে বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করেন।
অভিযোগ স্বীকার করে চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন জয় বলেন, ‘বিষয়টি প্রথমে আমি বুঝতে না পেরে অনুমতি ছাড়াই ১১টি মেহগনি গাছ কেটে ১১ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি, এটা সত্য। তবে গাছ বিক্রির টাকাগুলো সাজেদা-মমতা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টকে দেওয়া হবে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান জানান, ‘এলাকাবাসীর অভিযোগে ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছগুলো জব্দ করা হয়। তবে কর্তনকৃত গাছগুলো চেয়ারম্যানের জিম্মাতেই রাখা হয়েছে।