Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

31খোলা বাজার২৪,বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০১৬: বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার রিজার্ভ চুরির ঘটনায় পুনরায় তদন্ত চালু করতে ফিলিপাইনের সিনেটকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত গোমেজ এ অনুরোধ জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ফিলিপাইনের জিএমএ নিউজ অনলাইন এ খবর প্রকাশ করেছে।
ফেব্রুয়ারির শুরুরদিকে নিউ ইয়র্কের ফেডারেল ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে সুইফট জালিয়াতির মাধ্যমে এ অর্থ স্থানান্তর করে হ্যাকাররা। পরে ফিলিপাইনের ব্যাংক ও ক্যাসিনোর মাধ্যমে সব টাকা বিলি-বণ্টন করা হয়।
গোমেজ চুরির বিষয়ে ম্যানিলায় গণমাধ্যমের সঙ্গে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন। এসময় তিনি বলেন, ‘আমি কিছু নতুন সিনেটরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। এসময় তাদের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরির বিষয়ে সিনেটের ব্লু রিবন কমিটির আরেকটি শুনানি চালু করার অনুরোধ করেছি।’
গোমেজ জানান, তিনি চার অথবা পাঁচজন সিনেটরের সঙ্গে ইতিমধ্যে সাক্ষাৎ করেছেন। চুরির বিষয়টি গভীরভাবে অনুসন্ধানের জন্য সিনেটে আরেকটি শুনানি শুরু করার জন্য তিনি অনুরোধ করেছেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, সিনেটররা তাকে জানিয়েছেন, ‘আমরা অবশ্যই আরেকটি শুনানির অনুরোধ খতিয়ে দেখব।’ তারা এটাকে সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, ‘যখন আমরা জানতে পারব কে পরবর্তী সিনেটের প্রেসিডেন্ট এবং ব্লু রিবন কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছে। তখন আরেকটি শুনানি শুরু করা হবে বলে আমার দৃঢ় আস্থা আছে।’
ফিলিপাইনের সিনেট বসবে আগামি ২৫ জুলাই। এ অধিবেশনে ভোটাভুটির মাধ্যমে সিনেটররা পরবর্তী সিনেট প্রেসিডেডন্ট ও ব্লু রিবন কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন।
ফিলিপাইনের সিনেটে গেল ১৭ মে রিজার্ভ চুরির বিষয়ে সর্বশেষ ও সপ্তমতম শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সিনেটের বিন্যাসে পরিবর্তন আসায় এ শুনানি সংক্ষিপ্ত করতে হয়।
দেশটির ১৬তম জাতীয় নির্বাচনে ব্লু রিবন কমিটির চেয়ারম্যান হন তেউফিস্তো গুইনগোনা। সদ্য ১৭তম জাতীয় নির্বাচনে পদ হারান তিনি। এছাড়া রিজার্ভ তদন্তে সক্রিয় থাকা সিনেটর সার্জিও উসমেনাও পুননির্বাচনে পদ হারিয়েছেন।
সপ্তম পর্বের শুনানির পরও হ্যাকারদের পরিচয় এখনও অজ্ঞাত রয়ে গেছে। ৫ ফেব্রুয়ারি নিউ ইয়র্ক ফেডারেল ব্যাংক থেকে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের (আরসিবিসি) জুপিটার শাখার চারটি অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। এরপর এ অর্থ দেশটির ক্যাসিনোতে স্থানান্তর করা হয়। রেমিটেন্স কোম্পানি ফিলরেম সার্ভিসের মাধ্যমে এ অর্থ স্থানান্তর করা হয় বলে তদন্তে উঠে আসে। এরই মধ্যে চুরির কিছু টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।