খোলা বাজার২৪, বুধবার, ০৩ আগস্ট ২০১৬: হোসেন, দিনাজপুর : বিদুৎ উন্নয়বোর্ড কে কোম্পানীতে রুপান্তর করার প্রতিবাদে বড়পুকুরিয়া তাপবিদুৎ কেন্দ্রে ২য় দিনেও বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের অওতায় দেশের উত্তর অঞ্চলের রংপুর ও রাজশাহী বিতরণ জোনকে সরকার রাতারাতি কোম্পানীতে রুপান্তরিত করার প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত সকাল থেকে শুর করে তাপবিদুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকরা ধর্মঘট অব্যাহত রাখায় অচল হয়ে পড়েছে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া ২৫০ মেঃ কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের কাজকর্ম।
গতকাল বুধবার পুর্বের ন্যায় তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীরা কাজে যোগ না দিয়ে সকাল ১০টা থেকে তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের প্রশাসনিক ভবনের ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসুচি পালন করে এবং বিক্ষোভ করে । তাদের দাবীর পক্ষে মিছিল বের করে তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শ্রমিকেরা।
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া ২৫০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ (সিবিএ ১৯০২) এর সভাপতি মোঃ জিল্লুর রহমান জানান, বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, জনগনকে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ করে আমরা সেবা দিয়ে আসছি। কিন্তু কতিপয় ষড়যন্ত্রকারীরা সরকারকে ভুল বুঝিয়ে ভুল পথে পরিচালনা করে উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী ও রংপুর বিতরণে জোনকে কোম্পানীতে রূপান্তুরিত করে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এ জন্য তারা এই কোম্পানীকরণ চুক্তি বাতিলের জন্য সারা বাংলাদেশে বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের সকল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছে এবং আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। আমাদের দাবী বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। অপরদিকে জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ (সিবিএ ১৯০২) এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকবর আলী একই কথা জানান, জাতীয় শ্রমিক লীগ এর বড়পুকুরিয়া শাখার সভাপতি শহীদুল ইসলাম ও মহিদুল ইসলাম।
এদিকে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ মঞ্জুরূল ইসলাম বলেন, শ্রমিক কর্মচারীরা কাজে যোগ না দেয়ায় তা বিদ্যুতের স্বাভাবিক কাজ কর্ম পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তারা তাদের এই দাবি সরকার মেনে না নিলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড অচল হয়ে পড়তে পারে। আগামিতে তারা কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার কথা জানান। এ ব্যাপারে আন্দোলনকারীরা অতি দ্রুত বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত ছিল।