Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

36খোলা বাজার২৪ শনিবার, ৬ আগস্ট ২০১৬: আহমেদ মনির, জামালপুর: জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার চরাঞ্চলে অবস্থান করা ভারতীয় বুনো হাতিটি উদ্ধারে হিমশিম খাচ্ছে ভারত-বাংলাদেশের বন বিভাগের উর্দ্ধতন বিশেষজ্ঞ দল। উজানের বন্যার ¯্রােতে ভেসে আসা হাতিটি আতঙ্কিত লোকজনের ধাওয়ার মুখে বার বার স্থান পরিবর্তন করায় টানা কয়েকদিনের অভিযানেও কোন লাভ হয় নি।
তবে বিশেষজ্ঞ দলের অভিমত, হাতিটি লোকজনের ভয়ে ডাঙায় উঠতে না পারায় উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে স্থানীয়দের সচেতন করতে শুক্রবার বিকেলে পৌরসভার বাউসি পপুলার চত্বরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জরুরী মত বিনিময় সভা করা হয়। তবে বৃষ্টির কারনে তরিঘড়ি করে শেষ করা হয় মত বিনিময় সভা।
সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক শাহাবুদ্দিন খান, ইউএনও সাইয়েদ এজেড মোরশেদ আলী, ওসি বিল্লাল উদ্দিন, পৌর মেয়র রুকুনুজ্জামান রোকন, ভারতীয় উদ্ধার টিমের প্রধান ত্রিবেশ ভট্টাচার্য্য, সদস্য কৌশিক শর্মা, গোবিন্দ রায়সহ বাংলাদেশ টিমের প্রতিনিধিরা। উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা। এ সময় জেলা প্রশাসক শাহাবুদ্দিন খান বলেন, হাতিটি পানিতে অবস্থান করায় অনেক চেষ্টা করেও উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই হাতি উদ্ধারে তিনি সবাইকে সহযোগিতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও ভীড় না করতে অনুরোধ জানান। এছাড়া এলাকায় মাইকিং চলছে।
জানা গেছে, গত ২৮ জুন উজানের ঢল ও বন্যার ¯্রােতে ভারতীয় একটি বুনো হাতি বাংলাদেশের সীমান্তের কুড়িগ্রামে আসে। পরে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদী পাড়ি দিয়ে বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও সিরাজগঞ্জের কাজিপুর ঘুরে ২৮ জুলাই মধ্যরাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার চরাঞ্চলে এসে বন্যার পানিতে অবস্থান নেয়।
হাতিটি উদ্ধারে গত ৩০ জুলাই ঢাকা বিভাগীয় বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক বাবু অসিম মল্লিকের নেতৃত্বে বন বিভাগের উর্দ্ধতন ১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সরিষাবাড়ীতে আসে। দেশীয় প্রযুক্তিতে হাতিটি উদ্ধারে সক্ষম না হওয়ায় ভারত সরকারকে বিষয়টি জানানো হয়। পরে বৃহষ্পতিবার দুপুরে আসাম রাজ্য বন বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ত্রিবেশ ভট্টাচার্য্যরে নেতৃত্বে তিন সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল এসে উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করে। কিন্তু হাতিটি ডাঙায় না ওঠায় উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
ভারতীয় উদ্ধার টিমের প্রধান ত্রিবেশ ভট্টাচার্য্য জানান, হাতিটি উদ্ধার করতে হলে চেতনানাশক ইনজেকশন পুশ করতে হবে। কিন্তু ডাঙায় না ওঠায় এখনো সম্ভব হয় নি। তবে উদ্ধার প্রক্রিয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ টিমের প্রধান বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক বাবু অসিম মল্লিক বলেন, হাতিটি এখনো উদ্ধার সম্ভব না হলেও সার্বক্ষনিক নজরে রাখা হয়েছ্।ে হাতির খাবার সরবরাহ ও নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। তবে দীর্ঘদিন পানিতে অবস্থান করায় বর্তমানে হাতিটি অসুস্থ ও দুর্বল হয়ে পড়েছে।

ছবি: ১. জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ভারতীয় বন্য হাতিটি বন্যার পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে
২. ভারতীয় বন্য হাতিটি উদ্ধারে সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের উদ্দ্যোগে জনসচেতনা মূলক মতবিনিময় সভা