Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
500x350_628e4d56c42ff1f1e58392d2e83bdaf5_inglish_nari

খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট ২০১৬: জার্মানিতে সন্ত্রাসবিরোধী তৎপরতার অংশ হিসেবে বোরকা নিষিদ্ধ করা হতে পারে। স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ-সংক্রান্ত একটি পরিকল্পনায় সমর্থন দেবেন।

এই পরিকল্পনায় আরো রয়েছে অপরাধীদের আরো দ্রুততার সঙ্গে দেশ থেকে বহিষ্কার এবং চিকিৎসক-রোগী গোপনীয়তার শর্ত শিথিলের প্রস্তাব।
জার্মানির কয়েকটি শহরে সম্প্রতি বারবার হামলা হচ্ছে এবং এর বেশ কয়েকটি হামলার সাথে রয়েছে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসীদের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে আসতে পারে মহিলাদের বোরকা পরার উপর নিষেধাজ্ঞা দেবার মতো সিদ্ধান্তের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টমাস ডে মেইজিয়েরে আজ বৃহস্পতিবার আরো পরের দিকে এ সংক্রান্ত কিছু প্রস্তাবনা প্রকাশ করবেন বলে কথা রয়েছে।

ইসলামী আইন মোতাবেক বোরকা মহিলাদের জন্য একটি অবশ্য পরিধেয় পোশাক যা পুরো মাথা এবং সমগ্র শরীর আচ্ছাদিত করবে।

জার্মানিতে খুব বেশি মানুষ এ ধরণের পোশাক পরিধান করে না। দেশটিতে পোশাক পরিচ্ছদের উপর তেমন কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।

এমনকি একটি সরকারি কমিটি ২০১২ সালে একটি প্রতিবেদন দিয়েছিল যেখানে বলা হয়েছিল বোরকা এবং মুখমণ্ডল আড়াল করার পোশাক নিকাব নিষিদ্ধ করা হবে অসাংবিধানিক।

তবে কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। যেমন, জার্মানিতে ফুটবল মাঠে গিয়ে মুখমণ্ডল আড়াল করা বা ঢেকে রাখা নিষিদ্ধ।

এর আগে ফ্রান্স, বেলজিয়াম এবং ইটালির কিছু শহরে বোরকা পরিধানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।

এদিকে, চিকিৎসক-রোগী গোপনীয়তার শর্ত ভঙ্গ করলে জার্মানিতে ডাক্তারদের কারা ও অর্থদণ্ড ভোগ করতে হয়।

কিন্তু মি. ডে মেইজেয়েরে যে প্রস্তাব দিতে যাচ্ছেন আজ সেখানে বলা হচ্ছে, কোন রোগীর কোন কর্মকাণ্ডে সন্দেহের উদ্রেক হলে চিকিৎসকদের উচিৎ হবে দ্রুত কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।

এই প্রস্তাবটি নিয়ে জার্মানির বামপন্থী রাজনীতিবিদ ও চিকিৎসকদের তরফ থেকে থেকে বিস্তর সমালোচনা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টমাস ডে মেইজিয়েরে আজ সন্ত্রাসবিরোধী একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাবে যা থাকছে :

* বোরকা নিষিদ্ধ করা।

* জার্মানদের দ্বৈত নাগরিকত্ব ধারণ থেকে বিরত রাখা।

* ২০২০ সাল নাগাদ ১৫ হাজার পুলিশ নিয়োগ দেয়া।

* ট্রেন এবং পরিবহণের মূলকেন্দ্রগুলোতে আরো পুলিশ মোতায়েন করা।

* চরমপন্থি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য মসজিদগুলোতে অর্থায়ন করা আরো কঠিন করে তোলা।

* বিদেশী ঘৃণা প্রচারকদের দেশ থেকে বহিষ্কার করা।

* চিকিৎসক-রোগী গোপনীয়তার শর্ত শিথিল করা।