খোলা বাজার২৪, শনিবার, ১৩ আগস্ট ২০১৬: গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার আরেক পরিকল্পনাকারী ছিলেন এক নারী। তার সাংগঠনিক নাম মারজান। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। হামলাসংক্রান্ত সব ছবি মারজানের আইডি থেকেই বাইরে পাঠানো হয়। শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও পুলিশের কাউন্টার টেররিজম বিভাগের প্রধান (সিটি) মনিরুল ইসলাম বলেন, রাজধানীর গুলশান, কল্যাণপুর ও শোলাকিয়া হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ তামিম চৌধুরী ও ব্লগার হত্যায় জড়িত বলে সন্দেহে থাকা চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল হক ঢাকাতেই আছেন বলে তাদের ধারণা। হামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার হওয়া হাসনাত ও তাহমিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মনিরুল ইসলাম জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে দারুস সালাম থানার টেকনিক্যাল মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজন উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকায় এসেছিলেন। কল্যাণপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে জঙ্গিরা নিহত ও একজন গ্রেপ্তার হওয়ার পর ঢাকায় জেএমবির কর্মিসংকট দেখা দেয়। এ জন্য তারা উত্তরবঙ্গ থেকে কাঁচামাল নিয়ে ঢাকায় আসেন। আতিকুর নব্য জেএমবির উচ্চপদে রয়েছেন বলে জানান মনিরুল। অন্যরা সবাই সদস্য। এদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ রয়েছে। তাদের বড় নাশকতার পরিকল্পনা ছিল।
গ্রেপ্তার নব্য জামাআতুল মুজাহিদীনের (জেএমবি) পাঁচ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুলশান ও কল্যাণপুরের হামলা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।
তারা হলেন আতিকুর রহমান ওরফে আইটি আতিক, মো. আবদুল করিম বুলবুল ওরফে ডা. বুলবুল, আবুল কালাম আজাদ, মতিউর রহমান, শাহিনুর রহমান হিমেল ওরফে তারেক। ঘটনাস্থল থেকে নান্নু, সজীব, ইমরান, জিন্সিসহ কয়েকজন পালিয়ে যান। এসব এদের সাংগঠনিক নাম। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে ২৫টি ডেটোনেটর, ৮৭৫ গ্রাম জেল উদ্ধার করা হয়েছে।