Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট ২০১৬: হোসেন, ফুলবাড়ী দিনাজপুর : শাখা যমুনা নদীর ভাঙনের ফলে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের দশটি গ্রাম, ফসলি জমি, সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং একটি বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ক্যাম্প প্লাবিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙনের ফলে ক্যাম্পটি বিলীন হওয়ার আশংকা রয়েছে।
গত ১৭ই আগস্ট বুধবার ঐ এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শাখা যমুনা নদীটি ঘাসুরিয়া বিজিবি ক্যাম্পের ঠিক সামনে গতিপথ পরিবর্তন করে পশ্চিম দিকে সরে এসেছে। এতে করে বিজিবি ক্যাম্পের সামনে কাটলা-ঘাসুরিয়া মাটির সড়কটিতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া বাঁশের বেড়া এবং বালির বস্তাগুলো নদীর ¯্রােতে ভেসে গেছে। সড়কের পার্শ্বে তৈরী হয়েছে বড় বড় গর্ত।
ঘাসুরিয়া গ্রামের মোঃ ইসমাইল হোসেন (৫০), গোবিন্দপুর গ্রামের নিপেন চন্দ্র (৫৫) রামচন্দ্রপুর গ্রামের মজিবর রহমান (৩৭) জানান, বছর ১০ আগে থেকে নদীটি ঠিক বিজিবি ক্যাম্পের সামনের অংশে গতিপথ পরিবর্তন করে পশ্চিম দিকে ভাঙতে ভাঙতে এগুতো থাকে। নদীটির পূর্ব পাড়ে নতুন করে একটি ঢিবি সৃষ্টি হওয়ায় নদীর গতিপথটি দ্রুত পশ্চিম দিকে প্রায় দু’শ গজ এগিয়ে এসেছে। গতবছর থেকে ভাঙন তীব্র আকার ধারন করে। এবারের টানা বর্ষনে নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারন করলে গ্রামবাসীর মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
বিজিবি ২৯ ব্যাটালিয়র অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. কোরবান জানান, গত বছর ভাঙন তীব্র আকার ধরন করলে বিজিবি থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে লিখিত ভাবে জানানো এবং ভাঙনের ছবি পাঠানো হয়। ইউনিয়ন পরিষদ এবং বিজিবি ঢিবিটির কিছু অংশ কেটে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয়। গতবছর জুলাই মাসের শেষ দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁশের খুটি, বালির বস্তা দিয়ে ভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা করা হয়। এবছর টানা বর্ষণে ভাঙন তীব্র আকার ধারন করলে বিজিবি সদস্যরা স্থানীয়দের সাথে নিয়ে বাঁশ, কাঠ, টিন ও বালুর বস্তা দিয়ে অস্থায়ীভাবে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করা হয়।
কাটলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাজির হোসেন বলেন, নদী ভাঙনের ফলে ঘাসুরিয়ায় অংশে সড়কটি ভেঙে গেলে ইউনিয়নের ঘাসুরিয়া, গোবিন্দপুর, চৌঘুরিয়া, দামোদরপুর, জোলাপাড়া, চন্ডিপুর, রামচন্দ্রপুরসহ প্রায় দশটি গ্রাম প্লাবিত হবে। এসব গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ, ফসলি জমি, সাতটি বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে তিনি অবহিত করেছেন বলে চেয়ারম্যান নাজির হোসেন জানান।
দিনাজপুর- ৬ আসনের সাংসদ শিবলী সাদিক জানান, গত বুধবার তিনি সরেজমিনে ভাঙনস্থল পরিদর্শন করেছেন। ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেছেন, মন্ত্রণালয়ে কথা বলবেন বলে জানান।
দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোকতার হোসেন খান জানান, বরাদ্দ না থাকায় ভাঙন স্থানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ভাঙন স্থানে ব্লক বসানোর জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চেয়ে চাহিদা দেওয়া হয়েছে। চাহিদার অর্থ পাওয়া গেলে টেন্ডারের মাধ্যমে নদী ভাঙন এলাকায় দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।