খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৯ আগস্ট ২০১৬: সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বর্জ্য অপসারণ সম্ভব। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে। বর্জ্য অপসারণে সরকার অনেক কাজ করেছে। ভবিষ্যতে আরো কাজ করতে হবে।
নৌপরিবহণ মন্ত্রী ও নদীর নাব্যতা রক্ষার্থে গঠিত টাস্কফোর্সের সভাপতি শাজাহান খান আজ নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বর্জ্য অপসারণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এসব কথা বলেন।
সভায় বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (টাস্কফোর্স) নুর-উর-রহমানকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন- শিল্প, পরিবেশ ও এলজিআরডি মন্ত্রণালয়, বিআইডব্লিউটিএ, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন, রাজউক, ওয়াসা, বিসিক, এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি। কমিটি আগামী তিন মাসের মধ্যে টাস্কফোর্সের সভাপতি নৌপরিবহণ মন্ত্রীর নিকট বাস্তবধর্মী সুপারিশ পেশ করবে।
মন্ত্রী বলেন, রাজধানীর বর্জ্য অপসারণে বেশ কিছু কাজ করা হয়েছে। বুড়িগঙ্গা নদীর তলদেশ থেকে বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। ঢাকা ওয়াসার আওতাধীন বিভিন্ন খাল উদ্ধার ও খনন করে বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। মিটফোর্ড হাসপাতালের, বাবুবাজার ফলের এবং শ্যামবাজার সবজির আড়তের ময়লা নদীতে ফেলা বন্ধ করা হয়েছে।
সভায় নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের মাহাপরিচালক, স্থানীয় সরকার, ভূমি, শিল্প, গণপূর্ত, পানি সম্পদ, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, রাজউক, জাতীয় নদীরক্ষা কমিশন, বিআইডব্লিউটিএ এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
টাস্কফোর্সের বিভিন্ন সভার সিদ্ধান্তের আলোকে বর্জ্য অপসারণে করণীয় বিষয়ে আজ এ সভার আয়োজন করা হয়।