খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট ২০১৬: রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২৫শে আগস্ট শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিবস ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন- “শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিবস ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষে আমি দেশ ও দেশের বাইরের সকল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
সমাজ থেকে অন্যায়-অত্যাচার, নিপীড়ন ও হানাহানি দূর করে মানুষে মানুষে অকৃত্রিম ভালবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলাই ছিল শ্রীকৃষ্ণের মূল সাধনা। যেখানে অন্যায় অবিচার দেখেছেন সেখানেই শ্রীকৃষ্ণ আপন মহিমায় আবির্ভূত হয়েছেন। তিনি সর্বদা মানবতার মুক্তির পথ খুঁজেছেন। সৃষ্টিকর্তার বন্দনা ও আরাধনার মাধ্যমে মানুষে মানুষে সম্প্রীতির আবহ সৃজনে তাঁর আদর্শ সমভাবে প্রযোজ্য।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ঐক্যবোধ আর ধর্মনিরপেক্ষতা এ দেশের মানুষের ধর্ম। আবহমানকাল থেকে এ দেশের সকল ধর্মের অনুসারীরা পারস্পরিক সম্প্রীতি ও বন্ধুত্ব বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করে আসছে। সব ধর্মের মূল বাণী মানব কল্যাণ। তাই ধর্মকে ব্যবহার করে বা ধর্মের অপব্যাখ্যা করে কেউ যাতে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে লক্ষ্যে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। সমাজে বিদ্যমান ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরো দৃঢ় করে তা জাতীয় অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে কাজে লাগানোর জন্য আমি দেশের সকল ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আহ্বান জানাই।
আমি শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ‘জন্মাষ্টমী’ উৎসবের সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫শে আগস্ট শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিবস ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন- “শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মদিন ‘জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সকলকে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
শ্রীকৃষ্ণ আজীবন শান্তি, মানব প্রেম ও ন্যায়ের পতাকা সমুন্নত রেখেছেন। তিনি তাঁর জীবনাচরণ এবং কর্মের মধ্য দিয়ে সত্য ও সুন্দরের আরাধনা করেছেন। মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন এবং সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশে যুগ যুগ ধরে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করে আসছেন। আমরা বিশ্বাস করি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমাদের সরকার দেশের বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আরো সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর।
আমি আশা করি, এই জন্মাষ্টমী উৎসব শ্রীকৃষ্ণের ভক্তগণকে তাঁর জীবনাদর্শ অনুসরণ করতে আরো অনুপ্রাণিত করবে। বাঙালির হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, মানবতা ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আমি দেশের সকল নাগরিকের সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”