
“জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই । তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রাণ পুরুষ, মানবতা ও সাম্যের কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর ক্ষূরধার লেখনীর মাধ্যমে সকল রকম অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার আর জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। তাঁর অনন্য সৃষ্টিতে বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ হয়েছে। সাহিত্যের এমন কোন শাখা নেই যেখানে কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেননি। তিনি জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমকে বিদ্রোহ করার প্রেরণা যুগিয়েছেন। তাঁর রচিত কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতির ভান্ডারকে করেছে সমৃদ্ধ। শোষণের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রাম তাঁকে ’বিদ্রোহী কবি’র খ্যাতি এনে দিয়েছে।
কবি কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের সামনে চলার অন্তহীন প্রেরণার উৎস। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তাঁর কবিতা ও গান যুদ্ধরত মুক্তিযোদ্ধা ও এদেশের মুক্তিকামী মানুষকে সাহস ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে, উজ্জীবিত করেছে। আজো আন্দোলন সংগ্রামে তাঁর কবিতা ও গান আমাদেরকে শক্তি ও সাহস জোগায়।
মানব প্রেমের এক অনন্য দৃষ্টান্ত কবি কাজী নজরুল ইসলাম। মানুষকে ভালোবেসে তাদের কল্যানে আত্ম নিবেদিত হতে তাঁর রচনা আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করে। তাঁর সাহিত্যকর্ম আমাদেরকে চিরকাল স্বদেশ প্রেমে অনুপ্রাণিত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।