Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

14খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২৭ আগস্ট ২০১৬: শঙ্কা দূর হয়েছে। যথাসময়ে বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড। এতে তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্ট খেলার জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সফরে আসছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল।

কিন্তু ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরের এই সিদ্ধান্তে বিব্রতকর ও বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন দল থেকে বহিষ্কৃত খেলোয়াড় কেভিন পিটারসেন। তিনি ইংল্যান্ড দলে থাকলে এই মুহূর্তে নাকি বাংলাদেশ সফর করতেন না।
ইংল্যান্ডের তরুণ খেলোয়াড়দের বাংলাদেশ সফরের তাগাদা থাকলেও সিনিয়র খেলোয়াড়দের সফর করার কোনো যৌক্তিকতা তিনি নাকি খুঁজে পাচ্ছেন না। এই সফরটিকে ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুকের জন্য বড় চ্যালেঞ্জের হবে বলেও মনে করেন তিনি।
গত জুলাইয়ে ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার পর বাংলাদেশে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড। তবে তাদের নিরাপত্তা পরিদর্শক দল বাংলাদেশ ঘুরে গিয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। এতে যথা সময়ে বাংলাদেশ সফরেরন ব্যাপারে কথা দিয়েছে তারা। তবে খেলোয়াড়দের বাংলাদেশ সফরে আসা, না-আসার ব্যাপারে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সফর চলাকালে দ্বিতীয় সন্তানের বাবা হবেন অ্যালিস্টার কুক। এ কারণে তিনি এই সফরে নাও আসতে পারেন। আর একমাত্র স্টুয়ার্ট ব্রড নিরাপত্তার কারণে বাংলাদেশ সফরে আসবেন না বলে শোনা যাচ্ছে। যদিও বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। কিন্তু এরই মধ্যে আলোচনায় ঘি ঢাললেন ইংল্যান্ডের বিতর্কিত ‘সাবেক’ খেলোয়াড় কেভিন পিটারসেন। বলেন, ‘আমি এমন কোথায় গিয়ে সামনের ৬ সপ্তাহ থাকতে রাজি নই। তরুণ ওয়ানডে দলেরঅনেক ইস্যু থাকতে পারে। কিন্তু টেস্টের অভিজ্ঞ দলের খুব সামান্য ইস্যুই থাকতে পারে।’ এছাড়াতিনি আরো বলেন, ‘কিছু বড় খেলোয়াড়ের হয়তো বাচ্চাকাচ্চা আছে। পরিবারের প্রতি তাদের কিছু দায়িত্ব রয়েছে। তারা সম্ভবত ভাববে, কিভাবে বাংলাদেশ সফর থেকে নিজেকে বিরত রাখা যায়। আর এই পরিবারের কথা চিন্তা করেই সম্ভবত তারা বাংলাদেশ সফর থেকে বিরত থাকবে। আমি বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে চিনি যারা বাংলাদেশ সফরে যাবে না। সুতরাং বিষয়টি অনেক কঠিন হতে যাচ্ছে।’
কেভিন পিটারসেন আরো এক কাঠি বাড়িয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ সফরে যাবেন কি-না, তা নিয়ে অ্যালিস্টার কুককে কঠিন সিদ্ধান্তের সামনে পড়তে হবে। আমার মনে হয় না- একজন নিজেকে সফর থেকে বিরত রাখতে পারবে। যদি একজন যায় তাহলে সবাইকে যেতে হবে। ইচ্ছা থাকলেও এই সফর থেকে নিজেকে বিরত রাখা বেশ কঠিন হবে।’