খোলা বাজার২৪,রবিবার, ২৮ আগস্ট ২০১৬: রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাড্ডা থানার আদর্শ নগর এলাকায় চাঞ্চল্যকর চারজন হত্যা মামলার প্রধান কিলার জুয়েলসহ ছয় আসামীকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার রাতভর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগের এ অভিযানে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ২টি পিস্তল ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্সের উপ-পুলিশ কমিশনার স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আটককৃতরা হলো- মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ জুয়েল (২৮), মোঃ মোজহিদুল ইসলাম (২১), মোঃ সাফায়েত উল্লাহ সোহাগ (২৬), মোঃ রাহাত হোসেন কাব্য (১৮), মোঃ ইকবাল আহম্মেদ রানা (২৩) ও মোঃ শাহ পরান হোসেন রাজু (২১)।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ জুয়েল ফোর মার্ডার এর নেপথ্যে পরিকল্পনা, কারণ, হত্যাকান্ডে অংশগ্রহনকারীদের নাম ও হত্যাকান্ডের ঘটনার বর্ননা দিয়েছেন ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রসহ সার্বিক বিষয়ে তথ্য প্রদান, হত্যাকান্ডে তার সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করেন। তার দেয়া তথ্য মতে গুলশান ও বাড্ডা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।
অস্ত্র গুলি উদ্ধার সংক্রান্তে উল্লিখিত আসামীদের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় হত্যা মামলার পাশাপাশি অস্ত্র আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৩ আগস্ট রাতে বাড্ডা লিংক রোডের আদর্শনগর পানির পাম্পের কাছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি করে অস্ত্রধারীরা। এতে চারজন নিহত হন।
তাদের মধ্যে ঢাকা উত্তরের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শামসুদ্দিন মোল্লা (৫৩) ও উত্তর বাড্ডার একটি ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক ফিরোজ আহমেদ ওরফে মানিক (৪০) ওই রাতেই মারা যান।
পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ওরফে গামা ও রিকশা গ্যারেজের মালিক, ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আবদুস সালাম (৫৫) মারা যান।
এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মাহবুবুরের বাবা মতিউর রহমান ১৪ আগস্ট বাড্ডা থানায় ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।