
ম্যাচ শুরুর ২০ মিনিটের মধ্যে রাকিটিচ দূর্দান্ত এক গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন। কিন্তু আক্রমণভাগের দুই কান্ডারি লিয়নেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজ হতাশ করেছেন। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার বেনাট এক্সটেবারিয়ার ফ্রি-কিক অল্পের জন্য গোলের ঠিকানা খুঁজে পায়নি। নাহলে বিলবাও হয়ত পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তো।
শতভাগ জয় নিয়ে লীগ টেবিলের শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদের সাথে যোগ দিল বার্সা। প্রথম দুই ম্যাচের দুটিতেই জয় পাওয়া অপর দলটি হলো লাস পালমাস। এবারের লীগে নতুন খেলতে আসা আলাভেস ও লেগানেসের সাথে প্রথম দুটি ম্যাচের দুটিতেই ড্র করে ইতোমধ্যেই চার পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালিস্ট এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ।
ম্যাচ শেষে রাকিটিচ বলেছেন, ‘লা লীগায় প্রায় প্রতিটি ম্যাচই একই ধরনের। এখানে অনেক চাপ থাকে, ম্যাচের আবহ পুরো পরিবেশ পাল্টে দেয়। দুটি দলই আজ ভাল খেলেছে। কিন্তু দিনের শেষে জয়টা আমাদের প্রাপ্যটা ছিল।’
বার্সেলোনায় এখনো যোগ দেননি অলিম্পিকে স্বর্ণ জয়ী ব্রাজিলিয়ান দলের অধিনায়ক নেইমার ও ইনজুরি আক্রান্ত তারকা মিডফিল্ডার আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। যদিও এবারের মৌসুমে ডেনিস সুয়ারেজ, স্যামুয়েল উমতিতি ও আরদা তুরানকে দলে ভিড়িয়ে কাতালানরা তাদের শক্তি অনেকাংশেই বৃদ্ধি করেছে। বার্সেলোনার কোচ লুইস এনরিকে বলেছেন, টেম্পোর দিক থেকে বলতে গেলে ম্যাচটি বেশ আকর্ষণীয় ছিল। মৌসুমের এই পর্যায়ে সাধারণত এই ধরনের ম্যাচ দেখা যায়না। ম্যাচের ফলাফল আমাদের শক্তি বৃদ্ধি করেছে। সান মামেসে এ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে খেলাটা মোটেই সহজ নয়। আমি দারুন খুশী।
গোলবারে মার্ক-আন্দ্রে টার স্টেগানের ফিরে আসাটাও চোখে পড়েছে। রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে মৌসুমের প্রথম ম্যাচে ৬-২ গোলের বিশাল ব্যবধানে জয়ের দিনে যে দল খেলেছে তার থেকে এই একটি পরিবর্তন করেই মূল একাদশ সাজিয়েছিলেন এনরিকে। চলতি মৌসুমে বার্সেলোনা ছেড়ে ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দিয়েছেন দলের মূল গোলরক্ষক ক্লডিও ব্র্র্যাভো। এই চিলিয়ানের বিদায়ে দীর্ঘদিন পরে মূল একাদশে ফিরেছেন টার স্টেগান। কাতালান জায়ান্টদের হয়ে নিজের তৃতীয় মৌসুমে এই নিয়ে মাত্র অষ্ঠম ম্যাচে মূল একাদশে সুযোগ পেলেন টার স্টেগান। গত দুই মৌসুমেই গোলবার সামলানোর মূল দায়িত্বই ছিল ব্যাভোর ওপর। ১২ মিনিটেই অবশ্য জার্মান গোলরক্ষক ম্যাচের সবচেয়ে বড় ভুল করে ফেলেছিলেন। বেনাটকে বল উপহার দিয়ে সফরকারীদের বিপদেই ফেলেছিলেন। তবে সেই প্রচেষ্টায় নিজেই আবার রক্ষা করেন বার্সাকে। আট মিনিট পরে বাম দিক থেকে তার্কিশ মিডফিল্ডার তুরানের ক্রস থেকে বুলেট হেডে দলকে এগিয়ে দেন রাকিটিচ। কিন্তু এরপর বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। মেসি ও সুয়ারেজ নিজেদের প্রাপ্ত সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেনি।
প্রথম দুই ম্যাচে শতভাগ সাফল্য সত্বেও গোল ব্যবধানে রিয়াল ও বার্সাকে পিছনে ফেলে লীগ টেবিলের শীর্ষ স্থানে উঠে এসেঠে লাস পালমাস। রোববার গ্রানাডাকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে তারা নিজেকের অবস্থান শক্ত করেছে। নতুন চুক্তিকৃত কেভিন-প্রিন্স বোয়াটেং কালও গোল পেয়েছেন। গত সোমবার ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ৪-২ গোলের জয়ের ম্যাচেও বোয়াটেং গোল করেছিলেন। লিভারপুলের সাবেক উইঙ্গার নাবিল এল জার দুই গোল করেছেন। পালমাসের হয়ে বাকি গোলদুটি করেছেন মোমো ও সার্জিও আরাজো।
প্রথম ম্যাচে এস্পানেয়লকে ৬-৪ গোল বিধ্বস্ত করলেও কাল ভিয়ারেলের সাথে গোলশূণ্য ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছে সেভিয়া। অপর ম্যাচে গিয়নের সাথে গোলশুণ্য ড্র করে এখনো জয়বিহীন রয়েছে আলাভেস।