Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

37kরাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলিমদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে ধর্মের নামে অপব্যাখ্যা দিয়ে বা প্রলোভন দেখিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল যাতে সমাজে বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানিয়েছেন।

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলিম ভাই-বোনদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণীতে আবদুল হামিদ বলেন, ‘আল্লাহর প্রতি এই অকৃত্রিম ভালোবাসা ও ত্যাগের আদর্শ আমাদের ব্যক্তি সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হলেই পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ কমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।’

তিনি বলেন, কোরবানীর মর্ম অনুধাবন করে সমাজে শান্তি, সৌহার্দ্য ও কল্যাণের পথ রচনা করতে আমাদের সংযম ও ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে। ত্যাগের মনোভাবকে প্রসারিত করতে হবে আমাদের কর্ম ও চিন্তায়। সকল ধর্মের মূল বাণী হচ্ছে মানব কল্যাণ। তাই দর্মের অপব্যাখ্যা করে বা প্রলোভন দেখিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল যাতে সমাজে বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে সকলকে সহাজ থাকতে হবে।

আবদুল হামিদ বলেন, আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল পবিত্র ঈদুল আযহা মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.)কে কোরবানী করতে উদ্যোগ হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, আনুগত্য ও আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা অতুলনীয়।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত। এখানে সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম ও আচার অনুষ্ঠানাদি পালন করে আসছে। এটি আমাদের সম্প্রীতির এক অনুপম ঐতিহ্য। কুরবানীর শিক্ষা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে এটাই হোক এবারের ঈদের অঙ্গীকার।’

বাণীতে রাষ্ট্রপতি পবিত্র ঈদুল আযহা সবার জন্য কল্যাণ বয়ে আনুক, সবার মধ্যে উঠুক আত্মত্যাগের মহিমা মহান আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করেন।

অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র ঈদ-উল-আজহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কর্মকান্ডে অংশ নিয়ে বিভেদ-বৈষম্যহীন সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘হযরত ইব্রাহীম (আ.) মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে প্রিয় বস্তুকে উৎসর্গের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের যে অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, তা বিশ্ববাসীর কাছে চিরকাল অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।’

‘এই উৎসবের মধ্যদিয়ে সামর্থ্যবান মুসলমানেরা জবাইকৃত পশুর গোশত আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে সমাজে সাম্যের বাণী প্রতিষ্ঠা করেন।’

তিনি আশা প্রকাশ করেন, সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার নির্ধারিত স্থানে ঈদ-উল-আযহার পশু কুরবানী দিয়ে পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে সকলে এগিয়ে আসবেন।

পবিত্র এই দিনে তিনি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত উন্নতি, সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করেন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী রাব্বুল আলামিনের সহায়তা কামনা করেন। -বাসস