Sat. Jun 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
3_672
খোলা বাজার২৪,শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬:  বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের অর্জিত স্বাধীনতা কোনো ব্যক্তি বা দলের একক প্রচেষ্টায় হয়নি। মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতা। আওয়ামী লীগ নিজেদেরকে অত্যন্ত নির্লজ্জভাবে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ধারক ও কৃতিত্বের দাবিদার মনে করে অথচ ’৭১ সালে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তহীনতার কারণে জাতির ক্রান্তিলগ্নে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে হয়েছিল। সেদিন শহীদ জিয়া সময়মতো যদি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিতেন তাহলে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন আরো কঠিন ও দীর্ঘায়িত হতো। : গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় চট্টগ্রামের পাহাড়তলীস্থ ডায়মন্ড টাচ কমিউনিটি সেন্টারে সদ্য প্রয়াত চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মৃধার স্মরণে মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন মৃধা স্মৃতি সংসদ ও স্থানীয় বিএনপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় আবদুল্লাহ আল নোমান প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, দেশে এখন হীরক রাজার শাসন চলছে। ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র নেই দীর্ঘদিন ধরে। বাক-স্বাধীনতা ও মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত। নির্বাচন কমিশন, জাতীয় সংসদসহ সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে অকার্যকর করে রাখা হয়েছে। শেখ মুজিবের ঘোষিত বাকশালের চেয়েও শেখ হাসিনার অঘোষিত বাকশালী শাসনের তীব্রতা অনেক বেশি। : আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আন্দোলন ছাড়া সরকারের পতন ঘটানোর বিকল্প কোনো উপায় নেই, কারণ সরকার ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, নির্বাচনকে সরকার তামাশায় পরিণত করেছে। তিনি বলেন, আমাদের হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাইলে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করে রাজপথের আন্দোলন জোরদার করতে হবে। রাজপথের আন্দোলনে সফল হতে হলে সাংগঠনিকভাবে যারা অক্ষম ও আয়েশী মনোভাবসম্পন্ন তাদের উচিত জেল-জুলুমকে আলিঙ্গন করে যারা রাজপথের আন্দোলনে সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারবে তাদেরকে নেতৃত্বের অগ্রভাগে জায়গা করে দেয়া। : আবদুল্লাহ আল নোমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে সরকার ক্ষান্ত হয়নি। অসুস্থ সাদেক হোসেন খোকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সরকার রণাঙ্গনের এই বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করেছেন। আমি সরকারের এই হিংসাত্মক কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। : প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন মৃধার কর্মময় জীবনের উপর আলোকপাত করে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, তিনি ছিলেন দলের নিবেদিতপ্রাণ একজন দক্ষ সংগঠক। মৃত্যুর পূর্ব দিনেও মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন মৃধা ব্যক্তি জীবনে তার অবস্থান থেকে বিএনপি এবং মুক্তিযোদ্ধা দলকে সংগঠিত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তার মতো মুক্তিযোদ্ধারাই ছিল বিএনপির শ্রেষ্ঠ সম্পদ এবং তাদের কারণেই বিএনপি সংখাগরিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধার দল। : পাহাড়তলী থানা বিএনপির আহবায়ক ও মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস মৃধা স্মৃতি সংসদের আহবায়ক শামসুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাক্তার শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের যুগ্ম সম্পাদক নুরুল্লাহ বাহার, বন্দর শ্রমিকদলের সভাপতি শামসুল আলম, মহানগর যুবদলের সভাপতি কাজী বেলাল, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন দিপ্তী, মহানগর বিএনপি নেতা শ. ম. জামাল, কমান্ডার শাহাবুদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর হাজী বাবুল হক, অ্যাডভোকেট সাত্তার সারোয়ার, কামাল উদ্দিন, জসীম উদ্দিন জিয়া, মোশারফ হোসেন ডিপটি, আব্দুল মান্নান, আশরাফ চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম, দুলাল, অ্যাডভোকেট মফিজুল ভুইয়া, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, দিদারুর রহমান সুমন, এসকান্দার উল্লাহ, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, নূর সেলিম বাঙালি, মাহবুব আলম পান্না, ইকবাল হোসেন, মাইনুদ্দিন মেহেদী, তোফাজ্জল হোসেন, টিংকু দাশ, আজমল হুদা রিংকু, কামরুল ইসলাম, গাজী সিরাজ, মাইনুদ্দিন শহীদ, নূর আহমদ গুড্ডো, সাহেদ আকবর, হাবিবুর রহমান মাসুম, ফজলুল হক সুমন, শাহীন আহমেদ কবির, মোহাম্মদ ইসমাইল, মোহাম্মদ ফরিদ, সাইফুল আলম, শেখ রাসেল, জালাল উদ্দিন সোহেল, জমির উদ্দিন নাহিদ, হাজী মাহবুব আলম, মাসেকুল ইসলাম মাসুক, শফিউল্লাহ প্রমুখ। : প্রধান বক্তার বক্তব্যে ডাক্তার শাহাদাত হোসেন বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র এখন হারানো অতীত। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপিকে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠিত করে আমরা আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করব। হামলা, মামলা এবং নির্যাতন চালিয়ে সরকার আমাদেরকে নিবৃত্ত করতে পারবে না। সরকারের দমন-পীড়নকে আমরা রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করব। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার দমন-পীড়ন চালিয়ে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, কিন্তু সরকারের সে অপচেষ্টা সফল হবে না। আমরা জেল-জুলুমকে পরোয়া করি না।