Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

img_27871খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬: ২০ দলীয় জোট নেতা ও বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, সরকারকে স্বার্থাম্বেশী মহল দ্বারা পরিচালিত না হয়ে, একগুঁয়েমী পরিহার করে নির্মোহ অনুসন্ধ্যান করে রামপাল প্রকল্প চুক্তি বাতিল করা উচিত। তিনি ইউনেস্কো রিপোর্ট, বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ও প্রবল জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অবিলম্বে রামপাল প্রকল্প বাতিল করার দাবি জানান। তিনি বলেছেন, দেশের অর্থনীতি ও পরিবেশের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর এবং স্বার্থ বিরোধী রামপাল চুক্তিতে জনগণের সম্মতি না থাকলেও সুন্দরবন ধ্বংস করে সরকার ভারতের স্বার্থ রক্ষায় ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে। দেশি-বিদেশি শোষকদের ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশের ফুসফুস সুন্দরবন চরম হুমকির মুখে। রামপাল চুক্তি বাস্তবায়নে দেশের পরিবেশ হুমকির মুখে পড়বে। প্রকৃতির মহাপ্রাণ সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হবে।

আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশের স্বার্থ বিরোধী রামপাল চুক্তি বাতিল ও সুন্দরবন রক্ষার দাবীতে’ বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।

ন্যাপ নগর সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু‘র সভাপতিত্বে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বিএনপি‘র নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন, এডভোকেট আবেদ রাজা, গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, এনডিপি যুগ্ম মহাসচিব মোঃ শামসুল আলম, ন্যাপ সম্পাদক মোঃ কামাল ভুইয়া, মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, নগর যুগ্ম আহ্বায়ক প্রিন্সিপাল মোঃ নজরুল ইসলাম, নারী নেত্রী বাসন্তি বরুয়া বাবলী, শ্রমিকনেতা আবদুল্লাহ আল কাউছারী, নীলফামারী জেলা সদস্য মোঃ রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।

এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, দেশের মানুষ যখন জঙ্গি হামলায় আতঙ্কিত তখনই চুপিসারে জনগণের মতামত ছাড়াই এ চুক্তি করা হয়েছে। গণবিরোধী এই চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। দেশের প্রকৃতির প্রাণ সুন্দবনের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেছেন, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেছেন, আন্দোলনকারীদের বক্তব্যের সাথে ইউনেস্কোর বক্তব্য মিলে যায়। এর কারণ একটাই, বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত, নির্মোহ যুক্তিনিষ্ঠ বিশ্লেষণ করলে বক্তব্য অভিন্ন হতে বাধ্য।

সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ শাহজাহান সাজু বলেছেন, ইউনেস্কো যে খসড়া রিপোর্ট দিয়েছে তাতে সুন্দরবন বাঁচাতে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিলে দেশবাসীর দাবি ও আন্দোলনের ন্যায্যতা প্রমাণিত হয়েছে।