Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

47খোলা বাজার২৪,রবিবার,২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬: দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা পটুয়াখালীর এক স্কুলশিক্ষার্থীর চিঠির জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ওই শিক্ষার্থীর চাওয়া অনুযায়ী তার গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পথে থাকা নদীতে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেবেন তিনি।

ওই স্কুলশিক্ষার্থী শীর্ষেন্দু বিশ্বাস পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
গত ১৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে চিঠিটি লিখে পাঠিয়েছিলো শীর্ষেন্দু আর প্রধানমন্ত্রীর পাল্টা চিঠি তার স্কুলে পৌঁছায় ২০ সেপ্টেম্বর, যাতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষর করেছেন ৮ সেপ্টেম্বর।
শীর্ষেন্দুর মা শিলা রানী সন্নামত জানান, তার ছেলে ডাকযোগে চিঠিটি পাঠিয়েছিলো।
তিনি বলেন, ‘পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একজন কর্মকর্তা ফোন করে জানান যে, চিঠি তারা পেয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী জবাব দিতে আগ্রহী। কোন ঠিকানায় চিঠি পাঠাবেন প্রধানমন্ত্রী , সেটিও তখন তিনি জেনে নেন।’
শিলা রানী জানান, শীর্ষেন্দুর স্কুল থেকে তাদের জানানো হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রীর চিঠি এসে পৌঁছেছে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর স্কুলেই এক অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক এটি শীর্ষেন্দুর কাছে হস্তান্তর করবেন।
তিনি জানান, শীর্ষেন্দু তার একমাত্র সন্তান, সে এবার ঝালকাঠি থেকে পটুয়াখালীতে আসার সময় নদীতে ঝড় উঠলে প্রচণ্ড ভয় পায়। এরপর নিজে থেকেই চিঠিটি লিখে ডাকযোগে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেয়।
শিলা রানী উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অফিসে আমার ছেলের চিঠিটি সত্যিই যাবে আর তিনি জবাব দেবেন, এটা তো স্বপ্নেও ভাবিনি। অনেক ভালো লাগছে আমাদের। এলাকার মানুষও খুব খুশি।’
শীর্ষেন্দুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘একটি মাসুম বাচ্চার লেখার জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, এটি বিশাল ঘটনা আমাদের জন্য। এটা আসলেই বিরল।’
শীর্ষেন্দু তার চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছিলো যে, তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি এবং বাড়ি যেতে তাদের মির্জাগঞ্জে পায়রা নদী পার হতে হয়। কিন্তু নদীটিতে প্রচণ্ড ঢেউ থাকে। ফলে অনেক সময় নৌকো বা ট্রলার ডুবে যায় এবং অনেকে বাবা-মা হারায়।
চিঠিতে শীর্ষেন্দু জানায় যে, সেও তার বাবা-মাকে ভালোবাসে এবং তাদের কোনোভাবেই সে হারাতে চাই না। এজন্য নদীর ওপর একটি ব্রিজ বা সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করে চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়া এই শিক্ষার্থী।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, তিনি জানেন মির্জাগঞ্জ উপজেলায় পায়রা নদীটি অত্যন্ত খরস্রোতা এবং নদীটির বিষয়ে শীর্ষেন্দুর এই সচেতনতা তাকে মুগ্ধ করেছে।
শীর্ষেন্দুকে প্রধানমন্ত্রী তার চিঠিতে লেখেন, ‘মির্জাগঞ্জের পায়রা নদীতে একটি সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তোমাকে আশ্বস্ত করছি।’