Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

3kখোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬: আজ ২৮ সেপ্টেম্বর। মানবতাবাদী আধ্যাতিক কবি শেখ ফজলল করিমের ৮০তম মৃত্যূবার্ষিকী। ১৯৩৬ সালের এই দিনে নিজ বাড়ী লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা গ্রামে মারা যান তিনি। ‍কিন্তু বিখ্যাত সেই কবির স্মৃতি চিহ্ন আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। জীর্ন অবস্থায় রয়েছে কবির মাজার। বিলুপ্তির পথে তাঁর সাহিত্যকর্ম। কবির রচনাবলী সংগ্রহ করে কবিকে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। লালমনিরহাট প্রতিনিধি সুমন খানের পাঠানো তথ্য ও ছবিতে দেখুন ডেস্ক রিপোর্ট

কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর,মানুষেরই মাঝে স্বর্গ নরক,মানুষেতে সুরাসুর- অমর কবিতার সেই বিখ্যাত কবি শেখ ফজলল করিমের ৮০ তম মৃত্যূ বার্ষিকী আজ। ১৮৮২ সালের ১লা মার্চ লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ উপজেলার কাকিনা গ্রামে জন্ম গ্রহন আধ্যাত্মিক কবি শেখ ফজলুল করিম।মাত্র ৫৪ বছরের জীবনে ৫৫ টিরও বেশী কবিতা ও উপন্যাসের বই প্রকাশিত হয় তাঁর। সাহিত্যিক জীবনে কাব্যরত্ন, সাহিত্যবিশারদ, নীতিভূষণসহ নানা খেতাবে ভূষিত হন তিনি। মানববাদী এই লেখকের সব লেখাই আধ্যাত্মিক বলে তাঁকে আধ্যাত্মিক কবি বলেও সম্বোধন করা হয়। কবির লেখা কবিতা ও গল্প পাঠ্যপুস্তকে ঠাঁই পেলেও সরকারীভাবে সংরক্ষন করা হয়নি তাঁর স্মৃতি চিহ্ন। কবির নামে একটি বিদ্যালয়, একটি পাঠাগার, ও একটি ফলক ছাড়া কোন স্মৃতি নেই নিজ জেলা লালমনিরহাটে।

অরক্ষিত কবির মাজারটিরও জীর্নশীর্ন দশা। সংরক্ষন অভাবে নষ্ট হচ্ছে কবির ব্যবহৃত কলম, চেয়ার, খাট, লেপ-তোষক, বালিশ, টুপি, চশমাসহ বেশ কিছু জিনিসপত্র। কবির স্মৃতি জাগ্রত রাখতে কবির নামে একটি পাঠাগার করা হলেও তত্ত্বাবধকের অভাবে অকার্যকর ও পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে।

কবির স্মৃতি সংরক্ষনে প্রশাসনের পক্ষ হতে বিভিন্ন সময় নানা প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কবির বংশধর। তবে বরাবরের মত এবারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে উপমহাদেশের প্রখ্যাত কবি শেখ ফজলল করিমের স্মৃতি চিহ্ন। তাই সরকারী ভাবে স্মৃতি সংরক্ষনের কবিকে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি লালমনিরহাটবাসীর।