খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৬: রাজশাহীতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রায় ঘোষণা করে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক কেএম শহীদ আহম্মেদ। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম রফিকুল ইসলাম (৩২)। তিনি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানিগঞ্জ হিন্দুপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী মেকারের ছেলে। রাজশাহী জেলা জজ আদালতের পরিদর্শক খুরশিদা বানু কনা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রফিকুল ইসলামের বাবা মোহাম্মদ আলী মেকার (৫০) মা শামসুন নাহার (৩৮), সৎ মা আয়েশা সিদ্দিকা (৩৮) ও মামা রফিকুল ইসলাম মাস্টারকে (৪০) বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, রফিকুল ইসলামের সঙ্গে ২০০৬ সালে একই উপজেলার হামিরকুৎসা গ্রামের লুতফর রহমানের মেয়ে শারমিন আক্তার লিপির (২৩) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে রফিকুল তার স্ত্রী শারমিনের ওপর নির্যাতন চালিয়ে চালাতেন। ২০০৭ সালের ৭ আগস্ট রাতে নির্যাতনের এক পর্যায়ে তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়। তবে ঘটনা ধামাচাপা দিতে শারমিন আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রচার করা হয়। কিন্তু পুলিশ রফিকুলকে গ্রেফতার করে। পরে পাঁচজনকে আসামি করে ওই দিনই বাগমারা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন শারমিনের বাবা লুতফর রহমান। পরে আদালতে মামলাটির বিচারকাজ শুরু হয়। দীর্ঘ এই সময়ে আদালত মোট ১৩ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এরপর মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করা হলো। রায় ঘোষণার সময় সব আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রফিকুলকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ইসমত আরা বেগম। আসামিপক্ষে ছিলেন, অ্যাডভোকেট একরামুল হক ও আসাদুজ্জামান মিঠু।