Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

index

খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৬: চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সফরকালে দুই হাজার কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি হতে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয় এ নিয়ে তালিকা করেছে। এর বাইরে আরও একটি তালিকা তৈরি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বিকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি আরও জানান, যুক্তরাজ্যের সোনালী ব্যাংকের ওপর আরোপিত জরিমানা পরিশোধ করা হবে। তবে এর জন্য সরকার একা নয়, এর পরিচালনা পর্ষদও দায়ী।

বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় যোগদান শেষে বুধবার রাতে দেশে ফিরেছেন অর্থমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি অফিসে আসেন। বিকালে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন। এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, চীন আমাদের ভালো বন্ধুপ্রতীম দেশ। অবকাঠামো উন্নয়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক রয়েছে।

তিনি বলেন, আমি একটি তালিকা তৈরি করেছি। সেখানে ২০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি হতে পারে। দু’দিনের সফরে শুক্রবার বাংলাদেশে আসছেন শি জিন পিং। তার সফরে ৩টি সমঝোতা স্মারক, ৪টি ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট এবং ৩টি প্রকল্প- সবমিলিয়ে ১০টি চুক্তি চূড়ান্ত করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।

অর্থ পাচার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণে যুক্তরাজ্যে বড় অঙ্কের আর্থিক জরিমানা গুনতে হচ্ছে বাংলাদেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী ব্যাংককে। যুক্তরাজ্যের মুদ্রায় এই জরিমানার পরিমাণ ৩২ লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশী মুদ্রায় যা ৩০ কোটি টাকার অধিক।

সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, জরিমানার টাকা পরিশোধ করা হবে। তবে এক্ষেত্রে দায় শুধু সরকারের নয়, পরিচালনা পর্ষদও দায়ী।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্যের আর্থিক খাত তদারককারী কর্তৃপক্ষ এফসিএ (ফিন্যান্সিয়াল কন্ডাক্ট অথরিটি) সব কিছু যাচাই বাছাই করেই এ জরিমানা করেছে। ফলে এ টাকা না দেয়ার কিছুই নেই। এফসিএ বলছে, সোনালী ব্যাংক ইউকে মুদ্রা পাচার প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছে। তাই ব্যাংকটিকে ৩৩ লাখ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে।

এফসিএ’র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ কার্যক্রমের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংকের পদ্ধতিগত গুরুত্বপূর্ণ দুর্বলতা ধরা পড়েছে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে, বার্মিংহাম ও ব্র্যাডফোর্ডে সোনালী ব্যাংকের তিনটি শাখা রয়েছে। প্রবাসীদের সেবা দিতে ও ঋণপত্রের নিশ্চয়তা দেয়ার জন্য ২০০১ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যে যাত্রা শুরু করে সোনালী ব্যাংক। এতে সরকারের শেয়ার ৫১ ও সোনালী ব্যাংকের ৪৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।