খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৬ : বরেন্দ্র অঞ্চলের মাঠে এক কৃষকের সোনালী স্বপ্ন বাতাসে দুলছে। সোনালী ধানের ধানে ভরে উঠছে মাঠ। সেই সঙ্গে রঙিন হয়ে উঠছে প্রন্তিক কৃষকের স্বপ্ন। মাঠজুড়ে এখন সোনালী স্বপ্নের ছড়াছড়ি। চলতি কার্তিক মাসের মাঝামাঝি থেকে বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকরা সোনাল ধান কাটা শুরু করেছেন। অগ্রহায়ণ মাস পড়লেই পুরোদমে আমন কাটা-মাড়াই শুরু করবে বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকেরা। চলতি মৌসুমে সময় মত পানি ও অনুকুল আবহাওয়া থাকায় অন্যসব বছরের চেয়ে আমন চাষাবাদ ভাল হয়েছে।
আশানারুপ ফলনের সম্ভাবনাও রয়েছে। রাজশাহী জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরে তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে রাজশাহী জেলায় আমনের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৭৩ হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে পোকা দমনের পদ্ধতিতে পার্চিং-লগ, লাইন এবং ধোঁনছা গাছ লাগানো হয়েছে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে। এছাড়াও রাজশাহী অঞ্চলের রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আমন চাষাবাদ হবে আরো ৩ লাখ ৫০ হাজার হেক্টরের উপরে। বরেন্দ্রের মাঠগুলোতে যতদুর চোখ যায় চারিদিকে সোনালী ফসলের সমারোহ।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাকনহাট পৌর এলাকার পাঁচগ্যাছা গ্রামের কৃষক নোওয়াজ আলী জানান, চলতি মৌসুমে ১৩ বিঘা জমিতে সাদা স্বর্না জাতের ধান চাষাবাদ করেছেন। বর্তমানে তার ক্ষেতের ধান পাক ধরেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে কাটা পড়বে। তিনি আরো জানান, পুরো মাঠ এখন সোনালী রঙে সেজেছে। মাঠে গেলে বাতাসের দোলে মন প্রান জুড়িয়ে যাচ্ছে। কিন্ত সমস্যা একটা এখন পর্যন্ত ধান কাটার কৃষি শ্রমিক পাইনি। সে কারণে তিনি সময় মত ধান ঘরে তুলতে পারবেন কিনা চিন্তায় রয়েছে। তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা গ্রামের কৃষক লতিব সরদার জানান, চলতি মৌসুমে ১৫ বিঘাতে আমন চাষাবাদ করেছেন।
অন্য সব কৃষকের চেয়ে একটু অগ্রিম আমন রোপন করেছিলেন তিনি। তাই তার ক্ষেতে ধান সবার আগে ৬ থেকে ৭ বিঘা কাটা পড়েছে। বাকিগুলো এক দুই দিনের মধ্যে কাটা পড়বে। রাজশাহী কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক দেব দুলাল ঢালি জানান, প্রতি বছরই আমন কাটা মাড়ায়ের সময় কৃষি শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। তবে ভয়ের কোন কারন নেয়, চলতি মৌসুমে মাঠে অন্য সব বছরের চেয়ে ধানের মাথা ভাল আছে। বাম্পার ফলনের ও সম্ভবনাও আছে।