খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৬: আদালতের আদেশ অনুযায়ী শিশু আইনের অসঙ্গতির ব্যাখ্যা না করায় আইন(সংসদ বিষয়ক)লেজিসলেটিভ ও ড্রাফটিং এবং সমাজকল্যাণ সচিবের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সরকারের তিন সচিব হলেন- আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মোহাম্মদ জহিরুল হক, একই মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও জাস্টিস উইংয়ের সচিব মো. শহিদুল হক ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব।
কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট্রদের উক্ত রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার হাই কোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদে দেন।আদালতে আজ তিন সচিবের পক্ষে মো. মোজাম্মেল হক সময় চেয়ে আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ একেএম মনিরুজ্জামান কবির ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শহীদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি ঢাকা, কক্সবাজার ও রংপুরে শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত পৃথক চারটি মামলার আসামিরা হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। এসব মামলার সকল আসামি প্রাপ্তবয়স্ক।শিশু আদালত এই প্রাপ্তবয়ষ্ক আসামিদের জামিনের আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করায় হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকদের এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক চারটি আদালতে বিচারকরা নিজ নিজ ব্যাখ্যা লিখিতভাবে আদালতে দাখিল করেছেন।
এ ব্যাখ্যা আসার পর ৯ আগস্ট হাইকোর্ট রায়ের জন্য ১৪ আগস্ট দিন ধার্য করেন। কিন্তু আদালত রায় ঘোষণা না করে এ বিষয়ে সচিবদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন। আদালত বলেছেন-এ আইন প্রণয়নের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ব্যাখ্যা প্রয়োজন। কিন্তু আড়াই মাসেও এই ব্যাখ্যা তারা দাখিল না করার কারণে আজ আদালত রুল জারির এই আদেশ দেন।
আজ তিন সচিবের পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনটি দেখে আদালত বলে, আড়াই মাসেও কেন তারা জবাব দাখিল করতে পারলেন না। শিশু আইনের অসঙ্গতির কারণে বিচারিক আদালতে মামলার নিস্পত্তিতে যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে এ পর্যায়ের আদালত তিন সচিবকে তলব করতে চাইলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একে এম মনিরুজ্জামান কবির বলেন, কেন তারা আদালতের আদেশ অমান্য করলেন এই বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া যেতে পারে। এরপরই হাইকোর্ট তিন সচিবের বিরুদ্ধে ওই রুল জারি করেন।